আইপিএলের ফাইনালে ওঠার লড়াইতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দুরন্ত ব্যাটিং দিল্লি ক্যাপিটালসের। ২০ ওভারে ১৮৯ রান করল শ্রেয়স আইয়রের দল। অনবদ্য ৮ রানের ইনিংস খেললেন দিল্লির ওপেনার শিখর ধওয়ান। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন মার্কাস স্টয়নিস ও শেমরন হেটমায়ার। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। ওপেনিংয়ে শিখর ধওয়ানের সঙ্গে মার্কাস স্টয়নিসকে নামিয়ে চমক দেয় দিল্লি। আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে শুরু করেন দুই ওপেনার। একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মেরে সানরাইজার্সের বোলিং বিভাগ ও অধিনায়ক ওয়ার্নারকে চিন্তায় ফেলে দেন ধওয়ান-স্টয়নিস জুটি। পাওয়ার প্লে শেষের আগেও ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন তারা। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬৫।
পাওয়ার প্লের পরও আক্রমণাত্বক ব্যাটি চালিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। অবশেষে নবম ওভারে ভাঙে দিল্লি ওপেনিং জুটি। রাশিদ খানের বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। এরই মধ্যে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন শিখর ধওয়ান। ১০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১০২ রান। এরপর দিল্লির ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শ্রেয়স আইয়র ও শিখর ধওয়ান জুটি। শ্রেয়স একটু ধীরে খেললেও, নিজের আক্রমণাত্বক ব্যাটিং চালিয়ে যান ধওয়ান। কিন্তু এদিন ব্যাট হাতে খুব একটা সফল হননি শ্রেয়স আইয়র। ১৪ তম ওভারে জেসন হোল্ডারের শিকার হন তিনি। ২১ রান করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে আসেন শেমরন হেটমায়ার। ১৫ ওভারে আসে ১২ রান। ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৩৯।
১৬ তম ওভারে রাশিদ খানের বলে আসে ৬ রান। এরপর রাননের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন হেটমায়ার ও ধওয়ান। আক্রমণাত্বক খেলতে শুরু করেন দুজন। বিশেষ করে ক্যারিবায়ন তারকা হেটমায়ার বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ১৮ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৭৬ রান ২ উইকেট। ১৯ তম ওভারের সন্দীপ শর্মার বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। ৫০ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। ১৯ তম ওবারে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র ৬ রান দেন সন্দীপ শর্মা। দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৮২ রানে ৩ উইকেট। শেষ ওভারেও আসে মাত্র ৭ রান। ২০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৮৯ রান। ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার। সানরাইজার্সের টার্গেট ১৯০ রান।