• কাল ছিল আইপিএল ২০২০ এর অষ্টম ম্যাচ
• মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ও হায়দরাবাদ
• ব্যাটিং ও বোলিং, দুই বিভাগেই দাপট ছিল কলকাতার
• ফলস্বরূপ এবারের আইপিএলে প্রথম জয় দীনেশ কার্তিকের দলের
তরুণ শুভমান গিলের দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি। আর সেই অর্ধশতরানে ভর করেই চটজলদি তিন উইকেট হারিয়েও সানরাইজার্সকে উড়িয়ে আইপিএল ২০২০-র পয়েন্ট তালিকায় খাতা খুলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও ম্যাচের শুরু তে টস জিতেছিলেন ওয়ার্নার। চলতি আইপিএলে অধিনায়কদের ট্রেন্ডের বাইরে গিয়ে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি তারকা। কিন্তু কেকেআরের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে সানরাইজার্সকে কেবল ১৪২ রানই তুলতে পারে। ২ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুল নিল নাইট ব্রিগেড।
আইপিএলের ১৩তম সংস্করণে নাইট রাইডার্সের এটাই প্রথম জয়। গত ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৪৯ রানে প্রথম ম্যাচ হারের পর আইপিএল ২০২০তে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন দীনেশ কার্তিকের দলের। গিলের ৭০ রানের ইনিংসটি ৫টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল। অপরদিকে দ্রুত উইকেট হারানোর পর গিলকে দারুণ সঙ্গ দেন মরগ্যান। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কিন্তু তারা দুজনই ব্যর্থ হয়েছিলেন। এদিন ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪২ রান করেন মরগ্যান। রান তাড়া করতে নেমে দীনেশ কার্তিক ও সুনীল নারীন খাতা না খুলেই ফিরে যান। নীতিশ রানা ৩ নম্বরে নেমে দ্রুত ১৩ বলে ২৬ রান হাঁকান। তবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় গিল ও মরগ্যানের সেই পার্টনারশিপ।
দুর্দান্ত বোলিং করে নাইটদের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। গত ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য তীব্র সমালোচিত হয়েছিলেন কামিন্স। গতকাল ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে বেয়ারস্টোকে তুলে নিয়েছিলেন। অন্যদিকে ওয়ার্নারকে ৩৬ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বোলিংয়ে তার হাতে ক্যাচ দিয়েই ফিরে যান। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করেন বরুণ চক্রবর্তী। সানরাইজার্সের হয়ে তিনে নেমে মনীশ পান্ডে ৫১ রান হাঁকালেও সারনাইজার্স ১৪২ রানের বেশি তুলতে পারেনি। হতাশ করেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। ৩১ বলে ৩০ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি।