আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ, জেনে নিন পঞ্জাব বনাম রাজস্থান ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট

• কাল ছিল আইপিএল ২০২০ এর নবম ম্যাচ
• মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব এবং রাজস্থান
• হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভার অবধি
• চাপের মুখে জঘন্য বোলিং করেন পাঞ্জাব পেসাররা

Reetabrata Deb | Published : Sep 28, 2020 3:52 AM IST

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম রাজস্থান ম্যাচে মাত্র ২ রানের জন্য অভিনব রেকর্ড হাতছাড়া করলেন মায়াঙ্ক-রাহুল জুটি। শারজায় টসে হেরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ওপেন করতে নামেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও লোকেশ রাহুলের জুটি এবং ওপেনিং জুটিতে তারা ১৮৩ রান হাঁকান। ২০২০ আইপিএলে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে এই পার্টনারশিপ এলিট ক্লাব জায়গা করে নিল। আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ওপেনিং পার্টনারশিপ হিসেবে ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোর ১৮৫ রান সবার উপরে রয়েছে। ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সানরাইজার্সের দুই বিধ্বংসী ওপেনার এই রান হাঁকিয়েছিলেন। এদিন সেই রেকর্ড টপকে যাওয়ার সুযোগও তাদের সামনে ছিল যা অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়। 

এদিন সেই রেকর্ড টপকে যাওয়া থেকে মাত্র ২ রান আগে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। শারজায় রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন ওপেনারদের পার্টনারশিপ ১৮৩ রানে শেষ হয়। ৫০ বলে ১০৬ রান করে মায়ঙ্ক আগারওয়াল আউট হলে, পার্টনারশিপে ছেদ পড়ে। ওপেনিং জুটির ১৮৩ রানের মধ্যে মায়াঙ্কের অবদান ১০৬। ১০টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকিয়ে দুর্ধর্ষ ইনিংস সাজান মায়াঙ্ক। আগরওয়াল ফেরার অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে যান রাহুলও। তার সংগ্রহ ৫৪ বলে ৬৯ রান। দুই ওপেনারের আউট হওয়ার পর নিকোলাস পুরানের ৮ বলে ২৫ রানের ক্যামিওর দৌলতে ম্যাচ জেতার জন্য রাজস্থানের সামনে ২২৪ রানের লক্ষ্য রাখে পাঞ্জাব। 

রাজস্থানের হয়ে ওপেন করেন জশ বাটলার ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে দ্রুতই ফিরে যান বাটলার। কিন্তু স্টিভ স্মিথের সাথে জুটি বেঁধে পাঞ্জাব বোলারদের শাসন করতে থাকেন সঞ্জু স্যামসন। ১৩ তম আইপিএলের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৭৪ হাঁকিয়েছিলেন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ২১৬ রান তুলেছিল রাজস্থান। এরপর আইপিএল ২০২০তে দ্বিতীয় ম্যাচ পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২২৪ রান তাড়া করতে নেমে এদিন ৪২ বলে ৮৫ রান হাঁকান। দ্রুত অর্ধশতরান সম্পুর্ন করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্মিথ। 

এর পরে রাহুল তেওটিয়া কে আড়াল করে পাঞ্জাব বোলারদের বিরুদ্ধে একাই লড়াই করতে থাকেন সঞ্জু। ৪২ বলে ৮৫ করে ফেরেন তিনি। জয়ের আশা দৃঢ় হয় পাঞ্জাবের। কিন্তু এখানেই ম্যাচের রং বদলায় অভিনব ভাবে। একসময় ২৩ বলে ১৭ রান নিয়ে ধুঁকতে থাকা তেওটিয়া, পাঞ্জাবের ফর্মে থাকা বোলার কটরেলের ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচের রং ঘুরিয়ে দেন। এরপর মহম্মদ সামি দ্রুত তাকে এবং রবিন উথাপ্পাকে ফিরিয়ে ম্যাচে আবার পাঞ্জাবকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, কিন্তু গত ম্যাচের মতোই মারকাটারী ব্যাটিং করা জোফ্রে আর্চারের ৩ বলে ১৩ রানের ইনিংস পাঞ্জাবের যাবতীয় আশা শেষ করে দেয়।

Share this article
click me!