• গতকাল আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব ও রাজস্থান
• দাপুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করে রাজস্থান
• ব্যর্থ হয়ে যায় ক্রিস গেইলের দুর্দান্ত ইনিংস
• ম্যাচ হারলেও নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন ঊনিভার্সাল বস
শুক্রবার দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে আইপিএলের প্লে-অফ-এ নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার আশা জিইয়ে রাখলো স্টিভ স্মিথের রাজস্থান রয়্যালস। ইতিমধ্যে ২ ম্যাচ বাকি থাকা অবস্থাতেই প্লে অফে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একই সাথে চেন্নাই সুপার কিংসের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বাকি ৬ টি দলের মধ্যে যে কেউই যেতে পারে প্লে অফে। এই অবস্থায় রাজস্থানের জয় প্লে অফের অঙ্ক করে তুললো আরও অনেক জটিল ও আকর্ষণীয়।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে গেইল ঝড়ের সৌজন্যে ১৮৫ রান বোর্ডে তুলেছিল কে এল রাহুলের পাঞ্জাব। ১০ বছর আগে যেমনটা ছিল আজও গেইলের জন্য ব্যাটিংয়ের আক্রমণাত্মক মেজাজটা সেই একই রয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁর বয়স ৪২ ছুঁইছুঁই। তাই মারাকাটারী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে যুক্ত হয়েছে পরিণতবোধও। টুর্নামেন্ট শুরুর দিকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না প্রথম একাদশে। সেই সময়টাতে মাঠে প্রীতি জিনতা-লোকেশ রাহুল বাহিনীর অবস্থা ছিল শোচনীয়। সাতটা ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছিল মোটে একটিতে। নিতান্ত একটা ‘ফাটকা’ সুযোগ নেওয়ার জন্যই গেইলের আগমণ হয় একাদশে। সেটাও ওপেনিংযে নয়, তিন নম্বরে। কিন্তু, ইউনিভার্সাল বস সেই নতুন জায়গাতেও নিজেকে প্রমাণ করলেন পাঞ্জাবের হয়ে এরপর পাঁচটা ম্যাচ খেললেন। পাঁচটা ম্যাচেই কম বেশি রান করলেন, দু’টো হাফ সেঞ্চুরি পেলেন। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল টানা পাঁচটা ম্যাচ জিতে নতুন অক্সিজেন পেল পাঞ্জাব। কাল দুর্ভাগ্যক্রমে ১ রানের জন্য শতরান মিস করেন। জোফ্রে আর্চারের বলে পাঞ্জাব ইনিংসের শেষ ওভারে ইয়র্কড হয়ে চূড়ান্ত হতাশা নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরই মধ্যে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সমস্ত রকম আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে ১০০০ টি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়ে ফেললেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য।
কিন্তু গেইলের দুর্দান্ত ইনিংস কাল ব্যর্থ হয়ে যান রাজস্থানের দলগত সংহতির কাছে। গতকাল রাজস্থানের প্রতিটি ব্যাটসম্যান বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস খেলেন। শুরুতেই মারাকাটারী ইনিংস খেলে পাঞ্জাব বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন স্টোকস। তিনি দ্রুত ৫০ রান করে ফিরলে আক্রমণের দায়িত্ব নেন সঞ্জু স্যামসন। উল্টোদিক থেকে ঠান্ডা মাথায় ইনিংসটি ধরে রাখেন রবিন উথাপ্পা। উথাপ্পা ফিরলে স্টিভ স্মিথ নামেন এবং বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে দলের ওপর কোনওরকম চাপ পড়তে দেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্যামসন রান আউট হয়ে ফিরলে ১১ বলে ২২ রানের একটি ক্যামিও খেলে দলকে জয় এনে দেন জস বাটলার। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে।