একতরফা ম্যাচে দিল্লিকে ৫৭ রানে হারাল মুম্বই, আইপিএল ফাইনালে রহিত শর্মার দল

  • আইপিএলের প্রথম প্লে অফে জয় মুম্বইয়ের
  • পঞ্চমবার আইপিএল ফাইনালে রোহিত ব্রিগেড
  • প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
  • ১৪৩ রানে শেষে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংস
     

Sudip Paul | Published : Nov 5, 2020 5:50 PM IST / Updated: Nov 05 2020, 11:54 PM IST

আইপিএলের প্লে অফের প্রথম ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌছে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এক তরফা ম্যাচে শ্রেয়স আইয়রের দলকে ৫৭ রানে হারাল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২০০ রান করে মুম্বই। দলের হয়ে জোড়া অর্ধশতরান করেন করেন সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিষাণ।  ২০১ রানের টার্গেট তাড়া করেত নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। ১৪৩ রানে শেষ হয় দিল্লির ইনিংস। মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন বুমরা। এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। কিন্তু ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অশ্বিনের বলে খাতা না খুলেই আউট হন রোহিত শর্মা। এরপর ম্যাচের রাশ ধরেন কুইন্টন ডিকক ও সূর্যকুমার যাদব। দুজনেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেন। পাওয়ার প্লেতেই ৫০ রানে গন্ডী টপকে যায় মুম্বই। ৬২ রানের পার্টনারশিপ করার পর অষ্টম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। অশ্বিনের বলে ৪০ রান করে আউট হন ডিকক। এরপর নামেন ইশান কিষাণ। অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। কিন্তন তারপর দলের ১০০ রানের মাথায় আউট হন সূর্যকুমার। ৫১ রান করে নকিয়ার শিকার হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন কায়রন পোলার্ড। কিন্তু এদিন ব্যাট হাতে নিরাশ করেন তিনি। খাতা না খুলেই অশ্বিনের শিকার হন তিনি।

পরপর দুটি উইকেট পড়লেও, মুম্বইয়ের ইনিংসে চাপ পড়তে দেননি ইশান কিষাণ ও ক্রুণাল পান্ডিয়া। দুজনেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং চালিয়ে যান। কিন্তু মাত্র ১৩ রানেই থামেন ক্রুনাল। স্টয়নিসের বলে আউচ হন তিনি। এরপর নামেন হার্দিক পান্ডিয়া। ইশান কিষাণ ও হার্দিক পান্ডিয়া কার্যত তান্ডব শুরু করেন মাঠে। একের পর পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। অর্ধশতরানও করেন ইশান কিষাণ।  ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৩০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে নট আউট থাকেন ইশান কিষাণ। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। অপরদিকে, ৫টি ছয়ের সাহায্যে ১৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। দিল্লির হয়ে ৩টি উইকেট নেন অশ্বিন ও একটি করে উইকেট নেন নকিয়া ও স্টয়নিস।

২০১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শূন্য রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়  দিল্লি  ক্যাপিটালস। প্রথম ওভারেই পৃথ্বী শ ও অজিঙ্কে রাহানে প্যাভেলিয়নের রাস্তা দেখান ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় ওভারে জপ্রীত বুমারর শিকার হন শিখর ধওয়ান। এরপর শ্রেয়স আইয়র ও  মার্কাস স্টয়নিস দিল্লির ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করলেও, এদিন ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি দিল্লির অধিনায়ক। চতুর্থ ওভারে ফের দিল্লিকে ধাক্কা দেন বুমরা। ১২ রান করে বুমরার শিকার হন শ্রেয়স আইয়র।  ৬ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ৩২ রানে ৬ উইকেট। পাওয়ার প্লের পর একদিক থেকে মার্কাস স্টয়নিস নিজস্ব মেজাজে ব্যাট করে গেলেও, অপরদিক থেকে জারি থাকে দিল্লির উইকেটের পতন। অষ্টম ওভারে ক্রুণাল বলে আউট হন ঋষভ পন্থ। মাত্র ৩ রান করেন তিনি। ১০ ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর দাঁড়ায় ৬৫ রানে ৫ উইকেট।

এরপর দিল্লির ইনিংসের রাশ ধরেন স্টয়নিস ও অ্যাক্সর প্যাটেল জুটি। আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতেই ব্যাট করে যান তারা। বিশেষে করে মার্কাস স্টয়নিস একের পর এক মুম্বই বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণা শানিয়ে যান। নিজের অর্ধশতরানও পূরন কেন মার্কাস স্টয়নিস। ষষ্ঠ উইকেটে ৭১ রানের পার্টনারশিপ করার পর অবশেষে ১৬ তম ওভারে দলের ১১২ রানের মাথায় আরও একটি পড়ে দিল্লির। স্টয়নিস বোল্ড করেন বুমরা। অজি তারকা করেন ৬৫ রান। একই ওভারে ড্যানিয়েল সামসকেও আউট করেন বুমরা। খাতা না খুলেই আউট হন সামস। হার নিশ্চিত জেনেও, অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান অ্যাক্সর প্যাটেল। যদিও শেষ ওভারে পোলার্ডের বলে ৪২ রান করে আউট হন অ্যাক্সর প্যাটেল। দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংস শেষ হয় ১৪৩  রানে। ৫৭ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএল ফাইনালে পৌছে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

 


 

Share this article
click me!