শারজায় আরসিবির কাছে কার্যত আত্মসমর্পন করল কেকেআর। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৪ রান করে আরসিবি। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। রান চেজ করতে নেমে ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। নাইটদের ইনিংস শেষ হয় ১১২ রানে। টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওপেনিংয়ে শুরুটা বেশ ভালই করেন আরসিবির দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদূত পাড়িকল। ৬ ওভারের মধ্যেই দলের পঞ্চাশ পূরণ করেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পরও নিজেদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান আরসিবির দুই ওপেনার। অবশেষে অষ্টম ওভারে গিয়ে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। ৬৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। ৩২ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। এরপর ক্রিজে আসেব বিরাট কোহলি। ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান কোহলি ও ফিঞ্চ জুটি। ১০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ৭৮ রানে ১ উইকেট। কিন্তু ১৩ ত ম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ৪৭ রানে করে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। এরপর নামেন ডিভিলিয়ার্স। ১৫ ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের স্কোর দাঁড়ায় ১১১ রানে ২ উইকেট।
শেষ ৫ ওভারে রানের গতিবেগ বাড়ানো শুরু করেন কোহলি ও ডিভিলিয়ার্স জুটি। ১৬ ওভারে আসে ১৮ রান। দুরন্ত ব্যাটিং করেন এবিডি। স্লগ ওভারে কার্যত বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে শুরু করেন এবিডি। ১৭ তম ওভারে প্যাট কামিন্সকে ১৯ রান মারেন ডিভিলিয়ার্স। ১৭ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৪৮ রানে ২ উইকেট। ১৮ তম ওভারে রাসেলকে পরপর একটি চার ও একটি বিশাল ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন এবিডি। ২৩ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৮ ওভার শেষে স্কোর হয় ১৬৫ রান। ১৯ তম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আসে ১২ রান। শেষ ওভারে রাসেলের বলে আসে ১৭ রান। ২০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৯৪ রান। ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নট আউট থাকেন ডিভিলিয়ার্স ও ৩৩ রান করে নট আউট থাকেন কোহলি।
১৯৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। প্রথম ম্যাচেই ওপেনিংয়ে নেমে নিরাশ করেন টম ব্যান্টন। চতুর্থ ওভারে ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে কেকেআরের। ৮ রান করে নবদীপ সাইনির বলে বোল্ড হন ব্যান্টন। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন নীতিশ রানা ও শুভমান গিল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ৪৩ রানে ১ উইকেট। কিন্তু সেই পার্টনারশিপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অষ্টম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন নীতিশ রানা। তিনি করেন ৯ রান। লাগাতার উইকেট হারিয়ে চাপ লবাড়তে থাকে কেকেআরের অপর। শুভমান গিল বেশ কিছু সুন্দর শট খেললেও, ভাগ্য তার এদিন সাথ দেয়নি। ১০ ওভারে রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান শুভমান গিল। ৩৪ রান করেন কেকেআরের ওপেনার। ১০ ওভার শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৬১ রানে ৩ উইকেট।
১১ তম ওভারে জারি থাকে কেকেআরের উইকেট পতন। যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন দীনেশ কার্তিক। কেকেআর অধিনায়ক করেন ১ রান। ১২ তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন ইয়ন মর্গ্যান। ৮ রান করেন তিনি। এরপর নাইটদের ইনিংস ধরার চেষ্টা করেন রাহুল ত্রিপাঠী ও আন্দ্রে রাসেল। তবে এদিনও ব্য্রথ হন রাসেল। ১৪ তম ওভারে উদানার বলে আউট হন ক্যারেবিয়ান তারকা। ১৬ রান করেন তিনি। ১৫ তম ওভারে ক্রিস মরিসের বলে ১ রান করে আউট হন প্যাট কামিন্স। ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ৯০ রানে ৭ উইকেট। ব্যাক্তিগত ১৬ রান করার পর ১৭ তম ওভারে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী। এরপর বরুণ চক্রবর্তী ও কমলেশ নাগোরকোটি পুরো ওভার ব্য়াট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯ ওভারে মরিসের বলে আউট হন নাগোরকোটি। ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ১০৮ রানে ৯ উইকেট। ২০ ওভার শেষে কেকেআরের ইনিংস শেষ হয় ১১২ রানে ৯ ুইকেটে। ৮২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল বিরাট কোহলির দল।