মণীশ পাণ্ডের ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস, রাজস্থানকে ৮ উইকেটে হারাল সানরাইজার্স

  • আইপিএলে রাজস্থানকে হারাল হায়দরাবাদ
  • প্রথমে ব্য়াট করে ১৫৪ রান করে রাজস্থান
  • জবাবে ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস মণীশ পাণ্ডের
  • ১১ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় সানরাইজার্স
     

Sudip Paul | Published : Oct 22, 2020 5:32 PM IST / Updated: Oct 22 2020, 11:11 PM IST

প্রথমে জেসন হোল্ডারের দুরন্ত বোলিং,তারপর মণীশ পাণ্ডে ও বিজয় শংকরের অনবদ্য ইনিংসের সৌজন্যে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে রাজস্থানকে ৮ উইকেটে হারাল সানরাইজার্স। এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। রাজস্থানের হয়ে ওপেন করতে নামেন উথাপ্পা ও স্টোকস। চতুর্থ ওভারে দুই ব্যাটসম্য়ানের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন রবিন উথাপ্পা। এরপর ক্রিজে আসেন সঞ্জু স্যামসন। দুই জন মিলে এগিয়ে নিয়ে যান রাজস্থান রয়্যাসের ইনিংস। ১০ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর দাঁড়ায় ৭৪ রানে ১ উইকেট। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন রাজস্থানের দুই ক্রিকেটার। কিন্তু ১২ তম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় রাজস্থানের। ২৬ বলে ৩৬ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হন সঞ্জু। তৃতীয় উইকেটের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সানরাইজার্সকে। ১৩ তম ওভারে রাশিদ খানের বলে আউট হন বেন স্টোকস। ৩০ রান করেন তিনি। ১৩ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর দাঁড়ায় ৯০ রানে ৩ উইকেট। এরপর রাজস্থানের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান স্টিভ স্মিথ ও জস বাটলার। ১৫ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর দাঁড়ায় ১০৫ রানে ৩ উইকেট।

শেষ ৫ ওভারে রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন দুই ব্য়াটসম্যান। কিন্তু ১৬ তম ওভারে বিজয় শংকরের বলে আউট হন জস বাটলার। ৯ রান করে আউট হন তিনি। ১৬ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর দাঁড়ায় ১১৩ রানে ৪ উইকেট। এরপর ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ট করেন রিয়ান পরাগ ও স্টিভ স্মিথ। এরপর রানের গতিবেগ বাড়ান রিয়ান পরাগ ও স্টিভ স্মিথ। আক্রমণাত্বক শট খেলা শুরু করেন তারা। ১৮ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর  দাঁড়ায় ১৩৪ রানে ৪ উইকেট। কিন্তু ১৯ ওভারে পরপর দুটি পরপর দুটি উইকেট নিয়ে রাজস্থান বড়সড় ধাক্কা দেন জেসন হোল্ডার। স্মিথ আউট হন ১৯ রান করে ও রিয়ান পরাগ আউট হন ২০ রান করে। ১৯ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর ছিল ১৪১ রানে ৬ উইকেট। শেষ ওভারে আসে ১৩ রান। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে রাজস্থান রয়্য়ালস। 

১৫৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ওভারেই জোফ্রা আর্চারের বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। তৃতীয় ওভারেই জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে হায়দরাবাদকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন আর্চার। ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন মণীশ পাণ্ডে ও বিজয় শংকর। উইকেট পড়লেও আক্রমণাত্ব ইনিংস চালিয়ে যান মণীশ পাণ্ডে। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। অপরদিক থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন বিজয় শংকর। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের শেষে সানরাইজার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৫৮ রানে ২ উইকে। এরপর নিজেদের পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন বিজয় শংকর ও মণীশ পাণ্ডে। জের ঝোড়ে ইনিংস চালিয়ে যান ঝোড়ো ইনিংস চালিয়ে যান মণীশ পাণ্ডে। ১০ ওভার শেষে হাদরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ৭৯ রানে ২ উইকেট। 

রাজস্থানের সব বোলাররা এই পার্টনারশিপ ভাঙার চেষ্টা করেন। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরন করেন মণীশ পাণ্ডে। পূর হয় দলের শতরান। ধীরে ধীরে রান তোলার গতিবেগ বাড়ান বিজয় শংকরও। নিজেদের মধ্যে ১৫ তম ওভারে নিজেদের মধ্যে শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন বিজয় শংকর ও মণীশ পাণ্ডে জুটি। ১৫ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর দাঁড়ায় ১১৮ রানে ২ উইকেট।  ১৬ তম ওভার জোফ্রা আর্তারে পরপর তিনটি চার মারেন বিজয় শংকর। ১৭ তম ওভারেও একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান মণীশ পাণ্ডে। ১৮ তম ওভারেও নিজের বিধ্বংসী ফর্ম চালিয়ে যান পাণ্ডেজি। ১৮ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর দাঁড়ায় ১৫২ রান ২ উইকেট। ১৯ তম ওভারের প্রথম বলেই ৪ মেরে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন বিজয় শংকর, একইসঙ্গে ১১ ব বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১৪০ রানের পার্টনারশিপ করেন বিজয় শংকর ও মণীশ পাণ্ডে জুটি। ৮৩ রানে নট আউট থাকেন মণীশ পাণ্ডে ও ৫২ রানে নট আউট থাকেন বিজয় শংকর। ৮ উইকেটে ম্যাচ জয়ের সৌজন্যে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠে এল ডেভিড ওয়ার্নারের দল।


 

Share this article
click me!