রুদ্ধশ্বাস ম্য়াতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ৬ রানে ম্যাচ জিতল বিরাট কোহলির দল। কেকেআরের মতই হায়দরাবাদও জেতা ম্য়াচ ব্যাটসম্যানদের শট সিলেকশনের ভুলের কারণে হাতছাড়া করল। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে চাপ অনেকটাই বেড়ে গেল ডেভিড ওয়ার্নারের দলের। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৪৯ রান করে আরসিবি। জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হয় ১৪৩ রানে।
ম্যাচে টসে জিতে আরসিবি ব্যাট করতে পাঠায় ওয়ার্নার। বিরাট কোহলি ৩৩ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৫৯ রানের ইনিংস ছাড়া অন্য কোনও আরসিবি ব্যাটসম্যান বড় রান পাননি এদিন। পরপর দুটি ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলের রানের মধ্যে থাকা স্বস্তি দিয়েছে আরসিবিকে। এবি ডিভিলিার্স করেন মাত্র ২ রান। যার ফলে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। শেষে ১৪৯ রানের মধ্যে বিরাটের দলকে আটকে রাখতে সমর্থ হয় ওয়ার্নার ইলেভেন। সানরাইজার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান জেসন হোল্ডার, ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে অনবদ্য বোলিং করেন রাশিদ খান। একটি করে উইকেট পান ভুবনেশ্বর, নাদিম ও নটরাজন।
রান তাড়া করতে নেমে দলের ১৩ রানের ঋদ্ধমান সাহা আউট হয়ে গেলেও, অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও মণীশ পাণ্ডে। ৮৩ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ঝড়ো অর্ধশতরান করেন ওয়ার্নার। ৩৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক আউট হতেই লাইন দিয়ে উইকেট পড়া শুরু হয় হায়দরাবাদের। এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে সানরাইজার্সকে জোর ধাক্কা দেন নাদিম। ওয়ার্নারের পর সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মণীশ পাণ্ডে। শেষে আরসিবির আঁটোসাটো বোলিংয়ে ১৪৩ রানে ৯ উইকেটে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। পরপর ২ ম্য়াচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষ উঠে এল বিরাট কোহলির দল।