দুবার পিছিয়ে পড়েও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ম্য়াচ ড্র করল এটিকে মোহনবাগান। প্রীতম কোটালের শেষ মুহূর্তের গোলে এক পয়েন্ট ঘরে তুলল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ালিফাই এখনও ঝুলে রইল সবুজ মেরুণ ব্রিগেডের। তবে এদিন হায়দরাবাদের লড়াকু ফুটবল প্রশংসা কুড়িয়েছে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের। লিগ টপারদের যেভাবে লড়াই দিয়েছে ম্যানুয়েল মারকুয়েজের দল তা অনবদ্য। ইনজুরি টাইমে জটলা থেকে প্রীতম কোটাল গোল না করতে পারলে ম্যাচ হেরেই মাঠ ছাড়তে হত এটিকে মোহনবাগানকে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ভয়ডর হীন ফুটবল খেলতে শুরু করে হায়দরাবাদ এফসি। ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটেই স্যান্টানার গোলে এগিয়ে যায় নিজামের শহরের দল। প্রথমার্ধে দুই দলই আরও একাধিক সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান মনবীর সিং। যদিও সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি হাবাস ব্রিগেড। ম্য়াচের ৭৪ মিনিটে রোলান্ড আববার্গের গোলে ফের এগিয়ে যায় মারকুয়েজের দল। এরপর ম্য়াচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রাখে হায়দরাবাদ। কিন্তু ম্যাচের ইনজুরি টাইমে বক্সের মধ্যে জটলা থেকে গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান প্রীত কোটাল। ফলে হারের মুখ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে সাজঘরে ফেরে এটিকে মোহনবাগান।
এই ম্যাচ জিততে পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ালিফাই নিশ্চিৎ হয়ে যেত হাবাসের দলের। কিন্তু ড্র হওয়ায় ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্টে নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষেই থাকলেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাইয়ের জন্য প্রতীক্ষা বেড়ে গেল। অপরদিকে ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মুম্বই সিটি এফসি। শেষ দুই ম্যাচে তারা জিতলে পৌঁছাবে ৪০ পয়েন্টে। এর মধ্যে আবার একটি ম্যাচ হাবাসের দলের বিরুদ্ধেই। সেই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে এটিকে মোহনবাগান।