দক্ষিণে তাপমাত্রা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর। প্রবল ঠান্ডার সঙ্গে ঘন কুয়াশার জেরে রবিবার সকাল থেকে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল জলপাইগুড়িতে। বেলা বাড়লেও কুয়াশার দাপট অব্যাহতই থেকেছে। ফলে ছুটির দিনে কার্যত নাজেহাল হয়েছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা।
এ দিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির আকাশ ছিল মেঘলা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। কুয়াশার আস্তরণ এতটাই ঘন ছিল যে কয়েক মিটার দূরত্বের জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে এ দিন সকাল থেকেই ঠান্ডারও দাপট ছিল জলপাইগুড়িতে। তার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কনকনে হাওয়ায় শীতের কামড় আরও টের পেয়েছেন শহরবাসী।
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে খুব বেশি মানুষ বেরোননি। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁরা সোয়েটার, টুপি, চাদরের মতো গরম পোশাকে নিজেদের মুড়ে ফেলেছিলেন। রাস্তার পাশেও আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন অনেকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। শুধু তাই নয় উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপটের কথাও বলা হয়েছিল। পাশাপাশি সিকিমের কিছু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছিল হাওয়া অফিস।