রাজ্যে যখন করোনা আতঙ্কে তুঙ্গে, তখন শুনসান ডুর্য়াসে হাজির জার্মানির তিনজন পর্যটক। পুলিশে খবর দিলেন রিসর্টের কর্মীরাই। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সকলেই।
করোনা আতঙ্কে ব্য়াপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ডুয়ার্সের হোটেল ও রিসর্ট মালিকরা। আগাম বুকিং করে রেখেছিলেন অনেকেই, কিন্ত সংক্রমণের ভয়ে কেউ আর বেড়াতে আসেননি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে জার্মানি তিনজন পর্যটক আসে চালসা লাগোয়া মঙ্গলবাড়ি এলাকার একটি রিসর্টে। অতিথিরা করোনায় আক্রান্ত নন তো? রিসর্টে তো বটেই, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে এলাকায়। মেটেলি থানায় খবর দেন রিসর্টের কর্মীরা। থানায় থেকে খবর যায় মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। বুধবার সকালে রিসর্টে গিয়ে বিদেশি পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, জার্মানি থেকে দুই পুরুষ ও একজন মহিলা এসেছেন ডুয়ার্সের চালসায়। একজনের সামান্য সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলেও বাকি দু'জন পুরোপুরি সুস্থ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ যাত্রার ধকলজনিত কারণে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন রিসর্টের মালিক ও কর্মীরা।
উল্লেখ্য, কলকাতায় যিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তিনি ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতে আলাদা থাকতে রাজি হননি তিনি। বরং মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ তেমনই। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে তাঁর।