২০১৭, ২০১৮-র পর ২০১৯। ফের নেওড়াভ্যালি- র জঙ্গলে দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগিয়েও এ বছর নেওড়াভ্যালি- তে বাঘের দেখা না মেলায় উদ্বেগে ছিলেন বন দফতরের কর্তারা এবং ব্যাঘ্র প্রেমীরাও। বছরের একেবারে শেষ লগ্নে রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা মেলায় খুশি সবপক্ষই।
যে বাঘটির ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, সেটি একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ বলে মত বন দফতরের কর্তাদের। তবে গত দু' বছর যে দু'টি বাঘের দেখা মিলেছিল, এই বাঘটিও তাদের মধ্যেই একটা নাকি নতুন, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে খবর, লাভা এলাকার কিছুটা উপরের দিকে বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঙটিকে দেখা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ির গরুমারার ডিএফও নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, নেওড়াভ্যালি-তে রয়্যাল বেঙ্গল সংকরক্ষণে যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন তাঁরা। বাঘকে যাতে কোনওভাবেই চোরাশিকারিরা মারতে না পারে তার জন্য বেশি সংখ্যক নজরদারি কমেরা বসানো বয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বনকর্মী এবং রক্ষীদের সংখ্যাওও। পরিবেশপ্রেমী এবং বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা তাঁদের রাজ্য সরাকেরের কাছে দাবি করেছে, সুন্দরবন এবং বক্সার মতো নেওড়াভ্যালি- কেও ব্র্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
আরও পড়ুন- নেওড়াভ্যালির পর দার্জিলিং-এর অনতিদূরেই বাঘ দেখার দাবি, তদন্তে বন দপ্তর
২০১৭ সালে প্রথমবার আনমোল ছেত্রী নামে এক গাড়ি চালক নিজের মোবাইলে নেওড়াভ্যালি- তে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি তোলেন। তার পরেই ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসেও নেওড়াভ্যালি পাঁচ জায়গায় রয়্যাল বেঙ্গলের ছবি নয়তো পায়ের ছাপ ধরা পড়েছিল। ন্যাওড়া ভ্যালি-র উচ্চতা প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফুট। সেখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে বিশেষজ্ঞরাও অবাক হয়েছিলেন।
গত বছর অক্টোবর মাসে দার্জিলিঙ-এর কাছে লাতপাঞ্চারে এক শিক্ষিকাও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার- দেখার দাবি করেছিলেন। যদিও নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে কোনও ছবি দিতে পারেননি তিনি। ওই এলাকাতেও এর পর বাঘ দেখার আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।