খাবারের খোঁজে একটি দাঁতাল শুক্রবার ঢুকে পড়েছিল জঙ্গলের পাশে গ্রামে ৷ গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে মজুত করা ছিল চোলাই তৈরীর জন্য মহুল ৷ হাতিটি সেই মজুত মহুল খেয়ে ফেলে ৷ এরপরই শুরু হয় তান্ডব ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার অন্তর্গত খড়িকামাথানিতে ৷
মহুল খেয়ে মত্ত হাতিটি ইতিউতি ঘুরতে থাকে ৷ গ্রামের প্রান্তে কিছুক্ষণ কাটিয়ে গ্রামের বাজারে প্রবেশ করে ৷ বিকেলে বাজারে থাকা লোকজন বিশাল দাঁতাল হাতিকে দেখে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ কিন্তু হাতিটি কাউকে কিছু না বলে সোজা চলতে শুরু করলে স্থানীয় কৌতুহলিদের মজা মসকরা শুরু হয় ৷ তারা হাতিটিকে খোঁচা দিতে থাকে ৷ মুহুর্তে বাজারের ওপরে হাতিকে দেখতে কয়েকশ কৌতুহলি মানুষ হাতির পেছনে দৌড়তে থাকে ৷
হাতিটি মত্ত হয়ে থাকলেও রাস্তার ওপরে দাঁড়ানো বাস,যানবাহন, দোকানে কোনওরকম ক্ষতি করেনি ৷ হাতিটি যতখানি লোকালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিল , স্থানীয়রা ততখানি তাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছে ৷ অনেকেই হাতির লেজের চুল ছেঁড়ার চেষ্টা করেছে ৷ কেউ ঢিল, কেউবা পাথর ছুঁড়ে হাতিকে বিরক্ত করে মজা নেওয়ার চেষ্টা করেছে ৷ ঘটনার খবর পেয়ে বনকর্মীরা অনেক পরে জঙ্গলে ঢোকাতে সক্ষম হয়েছেন ৷ তবে কয়েক ঘন্টা ধরে জঙ্গলের বাইরে হাতিকে এভাবে উত্ত্যক্ত করলেও কারও কোনও ক্ষতি করেনি হাতিটি ৷ তবে এই ঘটনায় উদ্বেগে বনদফতর ৷
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানীয়রা অনেকে হাতির লেজের চুল ছেঁড়ার চেষ্টা করেছিলেন ৷ তাদের ধারনা হাতির লেজের চুল থেকে তাবিজ বানিয়ে ব্যাবহার করলে অনেক উপকার রয়েছে ৷ এই কান্ড বিপজ্জনক কিছু ঘটাতে পারতো ৷ খড়্গপুর ডিভিশনের ডিএফও অরুপ মুখার্জী বলেন- হাতিটিকে যেভাবে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে তা খুবই বিপজ্জনক ছিল,এটা আত্মহত্যার সামিল৷ যে কোনও মুহুর্তে যে কোনও কিছু ঘটতে পারতো ৷ গ্রামবাসীদের অনুরোধ তাঁরা এভাবে হাতিকে না উত্তেজিত করে দুর্ঘটনা ঘটাতে বাধ্য না করেন ৷