দিনভর আতঙ্ক তৈরি করে পুলিশ ও পরিবারের অনুরোধে রাত নটা নাগাদ অস্ত্র ছেড়ে সারেন্ডার করল ঝাড়গ্রামের সেই কনস্টেবল,পুলিশ সুপার জানালেন হ্যালুসিনেশন হয়েছিল তার।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ হঠাৎই ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক কনস্টেবল তাঁর এসএলআর (সেল্ফ লোডিং রাইফেল) নিয়ে ছাদে উঠে যান। সেখান থেকে রাস্তা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, যে কনস্টেবল গুলি চালিয়েছিলেন তাঁর নাম বিনোদ কুমার। তিনি জেলা পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগার বা আর্মারিতেই কর্মরত। নিজের কাছে থাকা কার্তুজে মুহুর্মুহু গুলি চালিয়েছে রাস্তা লক্ষ্য করে। তবে লকডাউন থাকায় রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা ছিল। তাই বিনোদের ছোড়া গুলিতে কেউ হতাহত হননি বলেই জানা গিয়েছে।
জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি বিনোদের সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিরস্ত করার চেষ্টা করছেন দুপুর থেকেই । গোটা এলাকা ঘিরে রাখে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যাতে সাধারণ মানুষ বন্দুকের পাল্লার মধ্যে ঢুকে না পড়েন। তাঁকে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে বিকেল পর্যন্ত ছাদ থেকে নামানোর চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা ।মাইন প্রতিরোধী বুলেট প্রুফ গাড়ি থেকে তাঁর উদ্দেশে মাইকে ঘোষণাও করা হয়।
বিকেলের পরে ওই যুবকের পুরুলিয়ার বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন হাজির হয়। বাবা-মা স্ত্রী সকলকে নিয়েই পুলিশের সহযোগিতায় মাইকিং করে যুবককে বুঝিয়ে নামানোর চেষ্টা হয়। রাত ন'টা নাগাদ পুলিশ তাকে বুঝিয়ে নামাতে সক্ষম হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর বলেন-" প্রাথমিকভাবে যা মনে হয়েছে তার হ্যালুসিনেশন (ক্ষণিকের জন্য অলীক কিছুতে বিশ্বাস করা) হয়েছিল। আমরা আরো জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কত রাউন্ড গুলি চালিয়েছে, কি কি ঘটেছে সব দেখা হচ্ছে। "