শীতের মুখে শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা। মশাবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে সরকার ও পুরসভা কী পদক্ষেপ নিয়েছে? তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন অনিন্দ্য দাস নামে এক আইনজীবী। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
শীতের মুখে কিংবা বর্ষার সময়ে, শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকেই। বছর দুয়েক আগে ২০১৭ সালেও কলকাতায় ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। তখন কলকাতা হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য দাসই। বস্তুত. ২০১৭ সালে ডেঙ্গু নিয়ে হাইকোর্টে ৯টি জনস্বার্থ দায়ের করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে কোনও মামলাই আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করে রাজ্য সরকার। তবে জনস্বার্থ মামলাগুলি কিন্তু গ্রহণ করে আদালত। কলকাতায় কীভাবে ডেঙ্গু প্রকোপ ঠেকানো যায়, সে সম্পর্কে একটি গাইডলাইনও তৈরি করে দেয় হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু কোথায় কী! শীতের মুখে ফের ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে কলকাতায়।
দিন কয়েক আগে মশাবাহিত এই রোগের আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন খোদ কলকাতা পুরসভারই এক আধিকারিক। তবে শান্তনু মজুমদার নামে ওই ব্যক্তির অবশ্য উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি চাকরি করতেন ধর্মতলায় কলকাতা পুরসভার সদর দপ্তরে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শান্তনু। জ্বর কিছুতেই সারছিল না। শেষপর্যন্ত তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গত শুক্রবার হাসপাতালে মারা যান কলকাতা পুরসভার কর মূল্যায়ণ বিভাগের আধিকারিক শান্তনু মজুমদার। বাগুইআটিতে আবার সন্তান প্রসব করার ১১ দিনের মাথায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রুনু বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূ। তিনি কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। আগের জনস্বার্থ মামলাতেই শুক্রবার ডেঙ্গু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী অনিন্দ্য দাসের আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। আগামী সোমবার এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হবে বলে জানা দিয়েছে।ে