বিশ্বাস অবিশ্বাস থেকে বহুদূরে এখানকার মানুষ। এখানকার গ্রাম। আর, এখানকার মন্দির। এখানে শিব শুধু পাথরের নয়, জাগ্রত। প্রবাদ, তিনি জেগে থেকে মানুষের কথা শোনেন। তাই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এখানে। কেউ মানত করতে। কেউ -বা শুধুই মনের কথা খুলে বলতে। আর যাঁরা আসেন, কেউই নাকি ব্য়র্থ মনোরথে ফিরে যান না।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, বাংলায় পাল বা সেনযুগের এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল। গোটা ভারতে এমন পঞ্চমুখী শিবমন্দিরের কোনও অস্তিত্ত্ব আছে কিনা সন্দেহ।
কোথায় জানেন এই মন্দির?
রাঙামাটির দেশ পুরুলিয়ায় রয়েছে এই মন্দির। সেখানে বাবা পঞ্চমুখীর মন্দিরে আজও পুণ্য়ার্থীর দল ভিড় করে। এই তো ক-দিন আগে, শিবরাত্রির দিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এল এখানে, বাবার মাথায় জল ঢালবে বলে। এই পঞ্চমুখী শিবের মূর্তিও কিন্তু বিরল। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন, গোটা দেশের মধ্য়েই বিরল এই মূর্তি। মনে করা হয়, দেশের মধ্য়ে আর কোথাও এই ধরনের স্বয়ম্ভূ শিবমূর্তি দেখা যায় না। মন্দিরটি পাল বা সেন যুগে তৈরি। যদিও ঠিক কত বছরের প্রাচীন এই মন্দির, তা নিয়ে একমত হতে পারেননি ইতিহাসবিদরা।
মন্দিরটি পুরো পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সংস্কারের পর এক আদল একটু হলেও বদলেছে। লোকসংস্কৃতি গবেষক সুভাষ রায়ের কথায়, এই পঞ্চমুখী শিবমূর্তি সত্য়িই বিরল। শুধু শিবমূর্তিই নয়। মন্দির চত্বরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাথরগুলোতেও রীতিমতো শিল্পনৈপুণ্য়ের পরিচয় পাওয়া যায়।