'আমি থাকলে গুলি চালিয়ে দিতাম, অফিসারকে স্যালুট'- বিজেপির অভিযান নিয়ে কড়া বার্তা অভিষেকের

এসএসকেএমে এদিন তিনি বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত পুলিশকর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে আসেন। সৌজন্যের সাক্ষাতে দেবজিতের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ও চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি। এরপর এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক।

Parna Sengupta | Published : Sep 14, 2022 2:30 PM IST / Updated: Sep 14 2022, 09:03 PM IST

মঙ্গলবার কলকাতা জুড়ে যেভাবে তুলকালাম কান্ড চালাল বিজেপি, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও চড়া সুরে গোটা পরিস্থিতি ও অচলাবস্থার নিন্দা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি লালবাজারের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তাঁর উপর চরাও হয় বিক্ষোভকারীরা। দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে একা পেয়ে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় এবং রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় হাত ভেঙে যায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের। কোনও মতে তাঁকে উদ্ধার করে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এসএসকেএমে এদিন তিনি বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত পুলিশকর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে আসেন। সৌজন্যের সাক্ষাতে দেবজিতের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ও চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি। এরপর এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক। 

তিনি বলেন  “আমি অফিসারকে কুর্নিশ জানিয়েছি। যেভাবে তিনি ধৈর্য আর সংযমের পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য আমি তাঁকে স্যালুট জানিয়েছি। আমি যদি ওখানে থাকতাম তাহলে মাথায় শুট করে দিতাম। গুলি চালিয়ে দিতাম।” এদিন পুলিশের রীতিমত প্রশংসা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “চাইলে সাঁতরাগাছিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে বিজেপির ২০-২৫ জনকে শিক্ষা দিতে পারত। খেলা শুরুর আগেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু তা করেনি। যা হয়েছিল একুশে জুলাই, যা হয়েছিল সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রামে। কাল কিন্তু তা হয়নি। এটাই তো পরিবর্তন। পুলিশের সবথেকে বড় পরিবর্তন এটাই।”

তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, “যাঁরা গুন্ডামি করল, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করল, পুলিশকে মারল তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি বুঝে গিয়েছে, আমরা আইন হাতে নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারি। বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা থাকবে কী করে মানুষের। যাঁরা গুন্ডামি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় হাইকোর্ট সেদিকে আমাদের সবার নজর থাকবে।”

অভিষেক আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্য়বস্থায় বিরোধী দল আন্দোলন করতেই পারে। তার মানে এই নয় যে গুন্ডামি, রাহাজানি করবে। জখম পুলিশ অফিসারের মাথায় হেলমেট ছিল বলে বেঁচে গিয়েছেন। না হলে প্রাণ সংশয় হত। সেকথা উনিও আমাকে বলেছেন।”

জলকামান থেকে লাঠিচার্জ। বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে রীতিমত খন্ডযুদ্ধ দেখল তিলোত্তমা। তবে মঙ্গলবার সারাদিনই এই টেনশন থেকে অনেক কিমি দূরে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতার পরিস্থিতির। তিনি বলেন পুলিশ ইচ্ছা করলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সংযম দেখিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পুরোটাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!