মঙ্গলবার তাঁকে দেখা গেল কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিতে। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় মিনিট তেরো কালীঘাট মন্দিরের ভিতরে ছিলেন তিনি।
কালীপুজোর দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালো চশমা পরে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের জটিল অপারেশন সেরে সোমবারই কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেইসব উপেক্ষা করেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির কালীপুজোতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চোখে অবশ্যই ছিল কালো চশমা।
মঙ্গলবার তাঁকে দেখা গেল কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিতে। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় মিনিট তেরো কালীঘাট মন্দিরের ভিতরে ছিলেন তিনি। মন্দির থেকে বেরোনোর সময় জানিয়ে গেলেন, তিনি এখন ভাল আছেন। সুস্থ আছেন। প্রত্যেকের মঙ্গল কামনাও করলেন। প্রত্যেকের আশীর্বাদে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে জানালেন।
তাঁর শরীর স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া বলে তিনি বলেন, “ঠিক আছি। আপনাদের আশীর্বাদ, ভালবাসা… মানুষ দোয়া-প্রার্থনা করছেন, আশা করি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠব।” এইটুকু বলেই বেরিয়ে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মন্দির থেকে বেরোনোর সময় প্রথমে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি তিনি। চোখে চশমা, গায়ে কালো জামা, কপালে মন্দিরের ছোট একটি তিলক পরে দেখা যায় অভিষেককে।
দীর্ঘ ২৫ দিন পর কালীপুজোর সকালে কলকাতায় ফেরেন তিনি। সোমবার সকাল ৮ টা নাগাদ কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। উল্লেখ্য, এক দুর্ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একাধিকবার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা করান তিনি। ১৪ অক্টোবর আমেরিকায় বিশেষ পদ্ধতিতে তাঁর চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এর আগে চিকিৎসার জন্য দুবাইয়েও যেতে হয়েছিল অভিষেককে। তারপরই আমেরিকায় গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে ফের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো ১২ অক্টোবর আমেরিকার হপকিন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে।
উল্লেখ্য, প্রতিবারের মত এবারও নিজের বাড়ির কালীপুজোয় ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই নিজের বাড়িতে কালীপুজো করেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও তার অন্যথা হয়নি। এই বিশেষ দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই কালীমায়ের জন্য ভোগ রান্না করেন। উপোস করেই তিনি পুজোর আয়োজন করেন আর পুজো দেন।
কোভিড মহামারির কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজো ধুমধাম অনেকটাই কম করা হয়েছিল। অথিতির সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রথা মেনে দেবীর আরাধানা করা হত। কিন্তু চলতি বছর মাহামারির প্রকোপ অনেকটাই কম। তাই এবার আগের মতই ধুমধামের সঙ্গেই কালী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
বাড়ির কালীপুজোয় আটপৌরে শাড়ি পরে ভোগ রান্নায় ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মধ্যরাতে বাংলার উপকূল পার হবে সিতরাং,রীতিমত গতি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়