বড়দিনে চিড়িয়াখানাতে খুশির জোয়ার। বন্দি পশুরাও শহরের কচি-কাচাদের দেখতে পেল। তবে করোনা সংক্রমনের জেরে এবছর চিড়িয়াখানাতে মানুষের ভিড় অনেকটাই কম। ভীড় নিয়ন্ত্রনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, রাখা হয়েছে অতিরিক্ত সিকিউরিটি ব্যবস্থা।
বড়দিন মানেই কেক, পেস্ট্রি আনন্দ উৎসব। আর তার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে চিড়িয়াখানা।'করোনা সংক্রমনের জেরে এবছর চিড়িয়াখানাতে মানুষের ভিড় অনেকটাই কম। বিগত বছরগুলোতে যেখানে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষের ভিড় হত এই চিড়িয়াখানাতে। সেখানে এবছর করোনার সংক্রমণ এর জেরে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে চিড়িয়াখানাতে।' অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশীষ কুমার সামন্ত।
অপরদিকে, এবছর চিড়িয়াখানাতে লোক সমাগম কম হলেও করোনা সংক্রমনের মত অতিমারি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বা সুস্থ রাখার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, রাখা হয়েছে অতিরিক্ত সিকিউরিটি ব্যবস্থা। একসঙ্গে যাতে একই জায়গায় অনেক মানুষ না থাকে তার জন্য সকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করে তোলার কাজ। কোন পশু পাখির খাঁচার সামনে বেশিক্ষণ যাতে মানুষ ভুল করে না থাকে, সে জন্য সক্রিয় রয়েছে চিড়িয়াখানার সিকিউরিটি টিম। খোলা হয়েছে অতিরিক্ত বেশ কয়েকটি কাউন্টার ও।ফলে সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমনের জেরে এবছর অনেকটাই ম্লান অবস্থা আলিপুর চিড়িয়াখানার।