শেষ মহূর্তে এসে তীরে এসে তরী ডুবল বিজেপির। 'এসএসসি-টেট কেলেঙ্কারী, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া, রাজনৈতিক হিংসা' সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তার আগে রাজ্যের একটি ঘোষণা যেন বিজেপির গোটা কর্মসূচি ফিকে হয়ে গেল। কেননা, আগামী দুদিন জীবাণুমুক্তকরণের জন্য বন্ধ থাকবে নবান্ন।
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পরই তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ অক্টোবর বিজেপির নবান্ন অভিযান। আর সেই দিনই জীবাণুমুক্তকরণের জন্য বন্ধ থাকবে নবান্ন। থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী থেকে কর্মীরাও। কার্যত ফাঁকা থাকবে রাজ্যের সচিবালয়। নবান্ন অভিযান ঘিরে বড়সড় প্রস্তুতি নিয়ে বিজেপি। যুব মোর্চার ব্যানারে এই মিছিলের নেতৃত্ব দিতে ব্য়াঙ্গালুরু থেকে এসেছিলেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। পাশাপাশি, এই অভিযান ঘিরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপির শীর্ষ নেতত্বরাও তৈরি বড়সড়ভাবে ঝাঁপাতে তৈরি রয়েছেন। এই অবস্থায় নবান্ন বন্ধ থাকার ঘোষণায় বিজেপির সব পরিকল্পনায় যেন জল ঢেলে দিল।
নবান্ন তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জীবাণুমুক্তকরণের জন্য আগামী দুদিন অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার নবান্ন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, এই দুদিন সব কর্মীদের আসনে মানা করা হয়েছে। এর জেরে তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। যার বিরুদ্ধেই বিজেপির এই অভিযান অথচ তাঁরাই থাকবেন না। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে শুন্য নবান্ন অভিযান করলে বিজেপির কাছে হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে।
আজ বেলা বারোটা নাগদ মিছিল শুরু কবে বিজেপি। চারটি দিক মিছিল গিয়ে নবান্ন অভিযান করবে। রাজ্য বিজেপির সদর জফতর থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই মিছিল সেন্চ্রাল অ্যাভিনিু থেকে নবান্নের দিকে এগোবে। দ্বিতীয় মিছিল হবে হেস্টিংস থেকে। সেখানে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন সহ অন্যান্যরা। তৃতীয় মিছিল হবে হাওড়া ময়দান ও চতুর্থ মিছিল হবে সাঁতরাগাছি থেকে। যদিও বিজেপির দাবি, আমরা যে নবান্ন অভিযান করছি, সেখানকার সত্তোর শতাংশ কর্মী এখন বিজেপির দিকে। সেই কারনে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে নবান্ন বন্ধ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও দাবি. বিজেপির মিছিলকে নবান্নে পৌঁছতে না দেওয়া হলেও নবান্নের কর্মীরা সেখানে বিজেপির পতাকা উড়িয়ে দেবে দাবি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের।