
খোদ শহর কলকাতার বুকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার এক বাউল শিল্পী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ডালপট্টি থেকে ফেরার সময় কলকাতা স্টেশনের পাশে ক্যানেলের ধার বরাবর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল তাঁর। রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। আকাশের অবস্থাও ভাল ছিল না। বৃষ্টি পড়ছিল অঝোরে। সেই সময় মহিলা রাস্তার ধারে একটি শেডের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনই এক দুষ্কৃতী পিছন থেকে এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর গলায় ব্লেড জাতীয় ধারাল বস্তু ধরে ভয় দেখায় এবং তাঁকে টেনে নিয়ে যায় নির্জন একটি স্থানে।
মহিলার কানে সোনার অলঙ্কার ছিল। সঙ্গে ছিল প্রায় আড়াই হাজার টাকা। সেই সব কেড়ে নেয় দুষ্কৃতী। এরপর শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার। ঘটনার জেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেরেছিলেন মহিলা। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন ঘড়িতে সাড়ে পাঁচটা। মহিলার পোশাক পুরোপুরি ছিঁড়ে যায়। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নির্যাতিতা কোনও কাজে ডালপট্টির দিকে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি যখন নিজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই তাঁর উপর চড়াও হয় এক দুষ্কৃতী। এরপরই তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ওই নির্যাতিতা উল্টোডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টও হয়েছে।
বছর চল্লিশের ওই মহিলাকে কলকাতা স্টেশনের কাছে ধর্ষণ করা হয়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে মহিলার হাতে হাজার টাকা গুঁজে দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই রাস্তায় পুলিশের নজরদারি প্রায় নেই বললেই চলে।