আরও একবার বিজপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন। বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহুদিনই সাপে-নেউলের। অতীতে তাঁর অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদও বারবার মুখ খুলেছেন গেরুয়া ঝড় নিয়ে। এদিনও তার অন্যথা হল না।
শুক্রবার অমর্ত্য সেন গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন জয় শ্রীরাম নিয়ে। তার বিরোধিতা জয় শ্রীরাম বলানো নিয়ে। শ্রীসেন এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গান্ধীভবনে আয়োজিত কলকাতা আফটার ইন্ডিপেন্ডেন্স, এ পারসোনাল মেমোয়ার শীর্ষক একটি বক্তৃতায় বলেন, নির্দেশ না মানলেই এই দেশে মারধোর করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধানে সমস্ত ধর্মাচরণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত ভারতীয় সংবিধানে সমস্ত ধর্মাচরণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের মানবিকার নিয়ে সরব হওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতা জিতেছেন, মতাদর্শের লড়াই নয়! বিপুল জনাদেষেও অদম্য অমর্ত্য সেন
বোঝাই যাচ্ছে হালের ঝাড়খণ্ড বা কলকাতা, কোনও ঘটনাই অমর্ত্য সেনের নজর এড়ায়নি। ঝাড়খণ্ডে তাবরেজ আনসারিকে চোর অপবাদে আঠারো ঘণ্টা ধরে মারা হয়, তাঁকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্যও করা হয়, হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে খাস কলকাতায় শাহরুফ হালদার নামক এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ট্রেনে মারধর করে একদল লোক। তাঁকেও বারবার জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়। অমর্ত্য সেন নিন্দা করছেন এই বাড়তে থাকা হিংসা ও অসহিষ্ণুতার বাতাবরণকেই।
অতীতে নাম না করে অমর্ত্য় সেনের চিন্তনের সমালোচনা করেছন নরেন্দ্র মোদীও। শ্রীসেন নোটবন্দির বিরোধিতা করলে, উত্তরপ্রদেশের এখ জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এক দিকে ওরা হাভার্ডের কথা বলেন, অন্য দিকে এই গরীব দেশের অর্থনীতির উন্নতির চেষ্টা করে চলেছে।' বলাই বাহুল্য এইখানে হাভার্ড বলে অমর্ত্য সেনের কথাই বলা হয়েছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকে। এমনকী সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে জনাদেশে নরেন্দ্র মোদী বাহিনী সরকার গড়লেও অমর্ত্য় বলেন, ক্ষমতা দিয়ে সরকার গড়েছেন নরেন্দ্র মোদী।