
১৭ দিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। অবশেষে আজ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ৬ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই থেকে এসএসকেএমের উডবার্নেই ছিলেন তিনি। তবে ছুটি দেওয়া হলেও চার সপ্তাহ তাঁকে বিছানা ছেড়ে উঠতে বারণ করেছেন চিকিৎসকরা। চার সপ্তাহ পর তাঁর আবার চেক আপ করা হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর হৃদযন্ত্রে দু’টি ব্লকেজ রয়েছে। সেই জন্য আরও কিছু পরীক্ষা করার জরুরি। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করবেন চিকিৎসকরা।
যাই হোক দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অনুব্রত। আর আজ সেখান থেকে ছুটি পাওয়ার পর বেজায় খুশি তিনি। আনন্দের চোটে হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনি মিষ্টি মুখ করান। বাড়ি যাওয়ার খুশিতে প্রচুর মিষ্টি নিয়ে আসেন। সে সবই সবার মধ্যে তিনি ভাগ করে দেন। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি। বেশ খোশমেজাজে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন- সিটি স্ক্যান মেশিনে ঢুকতে 'ভয়' পাচ্ছেন অনুব্রত, উদ্বেগের মুখে উডবার্নের চিকিৎসকেরা
প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল থেকে তো অনুব্রত ছাড়া পেলেন, তাহলে এবার তাঁকে তলব করবে না তো সিবিআই? এই বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী চার সপ্তাহ তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। সেই কারণে এই মুহূর্তে কোথাও তিনি যেতে পারবেন না। কেউ ডাকলেও তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। চার সপ্তাহ পর তাঁকে আবার এসএসকেএমে যেতে হবে। সেখানে তাঁর ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল যাচ্ছে, বাঁকুড়ায়-শিবপুরে-ইসলামপুরে কে যাবে', বিস্ফোরক দিলীপ
এদিকে হাসপাতালে ভর্তির পর সিবিআইকে চিঠি দিয়ে অনুব্রতর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ছিলেন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব কুমার দাঁ। শুক্রবার ওই আইনজীবী বলেন, “উনি বাড়ি ফিরেছেন সেটা সিবিআইকে জানাব, তারপর দেখি ওঁরা কী সিদ্ধান্ত নেন।” তবে এখন বীরভূমে ফিরবেন না তিনি। আপাতত নিউটাউনের ফ্ল্যাটেই থাকবেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন, দরজা আটকে বাইরে পাহারা দিলেন মহিলা, নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী-সহ ৪
চলতি মাসের শুরুতে সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে কলকাতায় এসেছিলেন অনুব্রত। এরপর ৬ এপ্রিল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর থেকে উডবার্ন ব্লকে ভর্তি ছিলেন তিনি। স্লিপ অ্যাপনিয়া, শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর হৃদযন্ত্রে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। এছাড়া অনুব্রতর অণ্ডকোষে সংক্রমণের চিকিৎসাও চলছিল এসএসকেএমে। তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছিল। তাঁদেরই পর্যবেক্ষণে ছিলেন অনুব্রত। তবে এবার সিবিআই কী করে এখন সেটাই দেখার।