কমেছে জৌলুস, তবু মহানগরীর ইতিহাসের সাক্ষী হয় আজও স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে বসন্ত কেবিন

১৯৩১ সালে স্থাপিত এই রেস্তোরাঁর কলকাতা শহরের মধ্যে একসময় পাঁচটি শাখা ছিলো৷ উত্তমকুমার, মান্না দে, গণেশ পাইন, মিঠুন চক্রবর্তী আসতেন এই রেস্তোরাঁয়৷ তারই পাশাপাশি ছাত্র, অধ্যাপক, ডাক্তার, কবি এরকম বিভিন্ন পেশার মানুষদের আড্ডাতেও সরগরম থাকত এই কেবিনগুলি৷

Ishanee Dhar | Published : Aug 17, 2022 1:04 AM IST

দেখছে স্বাধীনতা, স্বাধীনতার জন্য সাধারণ মানুষের আপ্রাণ লড়াই, মনে রেখেছে দেশভাগের জ্বলন্ত স্মৃতি। সাক্ষী থেকেছে উত্তমকুমার, মান্না দে, গণেশ পাইনদের মতো মানুষের পায়ের ধূলি। শ্রমজীবি মানুষের, না খেতে পাওয়া মানুষের, সর্বোপরি সাধারণ মানুষের কলতান বুকে নিয়ে কলকাতার বুকে ৯১ বছর ধরে সদর্পে দাঁড়িয়ে আছে বসন্ত কেবিন। 


কলকাতার আদি মধ্য ও নব্য যুগের চিহ্ন বহনকারী এই রেস্তোরাঁর বয়স আজ প্রায় ৯১ বছর। ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধীরে ধীরে সমহিমায় বিকশিত হতে থাকে। কলকাতা শহরের বুকে মোট পাঁচটি শাখা ছিল। কালের নিয়মে তা ধুয়ে মুছে গিয়ে আজ একটি শাখায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শাখার সংখ্যা মুছে গেলেও বসন্ত কেবিনের ঝাপসা চোখে আজও জ্বলজ্বল করে ইতিহাস। 

আরও পড়ুনকীভাবে ঘরে বসে বানাবেন আলু দেওয়া চিকেন বিরিয়ানি, জানুন রেসিপি


কখনও উত্তম কুমার কখনও মান্না দে বিভিন্ন সময় এই রেস্তোরাঁয় পায়ের ধূলি পড়েছে একাধিক গুণী মানুষের। 
১৯৩১ সালে স্থাপিত এই রেস্তোরাঁর কলকাতা শহরের মধ্যে একসময় পাঁচটি শাখা ছিলো৷ উত্তমকুমার, মান্না দে, গণেশ পাইন, মিঠুন চক্রবর্তী আসতেন এই রেস্তোরাঁয়৷ তারই পাশাপাশি ছাত্র, অধ্যাপক, ডাক্তার, কবি এরকম বিভিন্ন পেশার মানুষদের আড্ডাতেও সরগরম থাকত এই কেবিনগুলি৷ বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের মধ্যে সুখ্যাতি ছিলো এখানকার খাবারের৷ অতীতের স্বাক্ষর বহন করে এখন কেবলমাত্র কলেজ স্ট্রীট পাড়ার শাখাটিই টিকে রয়েছে৷
আগের তুনলায় রূপে গুণে অবনতি ঘটলেও কলকাতার কাছে বসন্ত কেবিন এক ইতিহাস, এক আবেগ, এক নস্টালজিয়া। 

আরও পড়ুনস্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি কলকাতায় রসনার আস্বাদন, কোন রেস্তোরাঁ কি কি পদ, জানুন

আরও পড়ুনরবিবার দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের, আরও শক্তি বাড়াল নিন্মচাপ

Share this article
click me!