সারা ভারতকে বিব্রত করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, টুইটে তোপ বিজেপির। গোয়ার তৃণমূলের হেভিওয়েটের সংখ্যা বাড়তে না বাড়তেই ঘাসফুল থেকে গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক বিয়োগে জোর আক্রমণ গেরুয়া শিবিরের।
'সারা ভারতকে বিব্রত করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়', টুইটে তোপ বিজেপির। গোয়ার তৃণমূলের হেভিওয়েটের সংখ্যা বাড়তে না বাড়তেই ঘাসফুল থেকে গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক বিয়োগে জোর আক্রমণ গেরুয়া শিবিরের। 'তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee ) সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন', বলে অভিযোগ জানিয়ে দল ছেড়েছেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সহ ৫ জন। এরপেরই মমতার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলে তোপ দেগেছে বিজেপি(BJP)।
গোয়ায় বিজেপির তরফে মমতাকে নিশানা করে টুইটে বলা হয়েছে, 'গোয়ার মানুষ মমতাকে শিক্ষা দেবে।' ওই ৫ নেতা যে মমতাকে চিঠি পাঠিয়ে দল ছেড়েছেন, সেই চিঠি টুইট করে প্রকাশ্যে এনেছে গোয়া বিজেপি। সেখানে বলা হয়েছে তৃণমূল স্কিমের নাম করে গোয়াবাসীকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। গোয়ায় তৃণমূলের তরফে ঘোষণা গৃহলক্ষ্মী স্কিমের ইস্যুতে সরব রাজ্য বিজেপি। আর তৃণমূলের এই ঘোষণার রাজ্য বিজেপি টুইট করে জানিয়েছে, 'সারা ভারতকে অপদস্ত করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বাংলায় তাঁর সাম্প্রদায়িক এবং হিংসাত্মক রাজনীতি সারা বিশ্বের দরবারের সামনে এসেছে। এবার তাঁর অপশাসনও প্রকাশ্যে এসেছে। ত্রিপুরার পর এবার গোয়াও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট একটি ভোটও দেবে না।। '
উল্লেখ্য, সামনেই গোয়া বিধানসভা ভোট। যার দিকে তাঁকিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি গোয়াবাসীর জন্য একটি বিশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণনমূল। সেই রাজ্য়ে ক্ষমতায় এলে ৫০০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল। গোয়ায় নিজেদের জমি শক্ত করার লক্ষ্যে বাংলার 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর মতোই গোয়ায় গৃহলক্ষী নামে এক বিশেষ স্কিমের কথা বলা হয়েছে সেখানে। ২০২২ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলে সেখানে এই প্রকল্প চালু করা হবে। এর আওতায় নিয়ে আসা হবে গোয়ার সাড়ে ৩ লক্ষ পরিবারকে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন ওই পরিবারের মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফরের আগের দিনই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মহুয়া মৈত্র।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই তৃণমূল ছেড়েছেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলেদার। তার দাবি, গোয়াকে ধর্মের নামে বিভক্ত করতে চাইছে তৃণমূল। লাভু মামলেদারের সঙ্গে তৃণমূল ছেড়েছেন আরও ৪ জন। মহারাষ্ট্রওয়াড়ির গোমন্তক প্রার্টির বিধায়ক ছিলেন লাভু মামলেদার। মমতাকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'গোয়াবাসীর মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। এমজিপির দিকে হিন্দু ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে খ্রীষ্টান ভোট টানার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটি সাম্প্রদায়িক দল।'