ফের উত্তপ্ত বীজপুর। এবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ নেতার গাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন নৈহাটির বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর গণেশ দাস।
ওই বিজেপি নেতা গণেশ দাসের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে অন্তত ১২টি বোমা মারা হয়েছে। কোনও মতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছে। এদিকে, এই ঘটনায় উল্টে বীজপুর থানার পুলিশ গণেশ দাসকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে,বীজপুর বালি ভাড়ায় ইটখোলা পাড়ায় ভাতৃ সংঘ ক্লাব গতকাল রাতে কয়েকজন যুবক তাস খেলছিল। হঠাৎ করে ২০-২৫ জনের দল এসে লাঠি, পিস্তল নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। মারধর করা হয় ক্লাবের সদস্যদের । ঘটনায় মানিক দাস নামে এক বিজেপি সমর্থকের মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ, ক্লাবে বিজেপির পতাকা লাগানো হয়েছিল। এলাকায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়েছিল স্থানীয়রা। যার ফলে এই আক্রমণ করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
সূত্রের খবর, ক্লাবের আহত ২ বিজেপি কর্মীদের নিয়ে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গণেশবাবু। পরে নিজের গাড়িতেই বীজপুর থানা থেকে হালিশহরে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তার ওপর হামলা হয়। অভিযোগ, মাঝরাতে গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা । য়ার ঝেরে মাঝ রাস্তায় বিজেপি নেতার গাড়ি বিকল হয়ে যায়। কোনওরকমে রাতের অন্ধকারে প্রাণ বাঁচান তিনি ।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। কেবল তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য় এই অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।