এসএসসি (SSC SCAM) তদন্তে ইডি (ED) হাতে গ্রেফতার রাজ্যে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থ ঘনিষ্ঠ বন্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২১ কোটি টাকা, সোনা ও বিদেশী মুদ্রা। এবার এই বিষয়ে তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghos)।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল। ২৭ ঘণ্টা ম্যারান জিজ্ঞাসাবাদের এসএসসি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পপ মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সন্ধ্যেয় পার্থ ঘনিষ্য মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছিল। পাশাপাশি ইডির তদন্তকারীদের অসহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে পার্থর বিরুদ্ধে। শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল ও নাম না করে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
বাংলার সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস দলকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,'এখনও পর্যন্ত ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে অর্পিকা মুখোপাধ্যায়ের। এছাড়াও সোনা রয়েছে। খোঁজ মিলেছে আরও এক বান্ধবীর। তারও ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যোগ রয়েছে বাংলারদেশের সঙ্গেও। হাজার হাজার যুবক যুবকতীদের ভবিষ্যৎকে অন্ধরার করে দিয়ে বাংলাকে দুর্নীতির পাঁকে ডুবিয় দিয়েছে এই সরকার। অর্পিতা, মোনালিসার যদি এত সম্পত্তি হয়, অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীর যদি ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়, তাহলে মন্ত্রী মশাইয়ের আরও বেশি হওয়া উচিৎ। তা না হলে মান থাকবে না। বাংলা মানুষ হতাশায়, হিনমন্নতায় ভুগছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাইছে।'
এছাড়া দিলীপ ঘোষ বলেছেন,'পরশু দিন লক্ষ লোকের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে নৈতিকতার কথা বলেছিলেন। যে আমাদের ধনবান নয়, হৃদয়বান হতে হবে। বলেছেন এমপি-রা রিক্সায় চড়ে যাবেন। কিন্তু, স্করপিও কালচার চলছে। সমস্ত ছোটখাট নেতার কাছেও স্করপিও আছে।' নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, যিনি নিজেক দেশের নেত্রী হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে লড়াই করার কথা ভাবছেন, সঠিক পথে তদন্ত এগোলে আসল মাথা কে সেই নামও সামনে আসবে। আমিও আশা করব সঠিক পথে তদন্ত এগোবে ও শেষ পর্যন্ত যাবে। তাহলেই আরও বড় বড় নেতা মন্ত্রীদের নাম সামনে আসবে। এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আমরা আশা করব দোষীরা সাজা পাবে।' বিরোধীরা এই বিষয়ে যখন সুর সপ্তমে চড়াচ্ছে তখন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এখনও সরকারিভাবে কোনও কিছু জানানো হয়নি।