'তৃণমূলই তো করেছে, না হলে কেন হঠাৎ এই গঙ্গাস্নান', ভোট পরবর্তী মামলার ইস্যুতে মমতাকে তোপ দিলীপের

'তৃণমূলই তো করেছে। এই জন্যই তো চিন্তা। দিদিমণি গিয়ে গঙ্গাস্নান কেন করেছেন, হঠাৎ গঙ্গাসাগরে', নাম না করলেও এদিন ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ২১ টি ধর্ষণের অভিযোগের ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।  ঘাসফুল শিবিরকে 'মিথ্যেচার'-র আরোপ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  

Web Desk - ANB | Published : Jan 7, 2022 3:17 AM IST

'তৃণমূলই তো করেছে। এই জন্যই তো চিন্তা। দিদিমণি গিয়ে গঙ্গাস্নান কেন করেছেন, হঠাৎ গঙ্গাসাগরে', নাম না করলেও এদিন ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ২১ টি ধর্ষণের অভিযোগের ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।  ঘাসফুল শিবিরকে 'মিথ্যেচার'-র আরোপ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও এদিন ভার্চুয়াল বক্তব্যের শেষে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) নাম ধরেই আক্রমণ চালিয়েছেন (BJP Leader Dilip Ghosh)।

দিলীপ ঘোষ এদিন নিউটাউন থেকে ভার্চুয়ালি বলেন,' হঠাৎ একটা খবর এসেছে, ২১ টি মামলা নাকি মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সেটা এসআইটি-কে ফেরত দেওয়া হয়েছে। যদিও এর কোনও আঁধার নেই, মিথ্যা। আর বাজনাদাররা  হইইই ফেলে দিয়েছে, এইতো বিজেপির মিথ্যা সামনে এসেছে। তৃণমূল কিছু করেনি', বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এরপরেই বলেন, 'তৃণমূলই তো করেছে। এই জন্যই তো চিন্তা। দিদিমণি গিয়ে গঙ্গাস্নান কেন করেছেন, হঠাৎ গঙ্গাসাগরে। পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এবং মিডিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। যাতে কোনও খবর বাইরে না আসে। কারণ সিবিআই শুধু এফআইআর করছে না, নেতাদের ধরে জেলেও ভরছে। এখান থেকে বাঁচার জন্য যতরকম চেষ্টা শুরু করেছেন, তার প্রমাণ আমরা পেলাম। কিছু মিডিয়া মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে বাঁচাবার চেষ্টা করছে। তাতে আরও প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, এই মিথ্যাচারের আশ্রয় নেওয়ার একটাই কারণ, সব সামনে আসছে। এবং যারা অন্যায় করেছেন, তাঁরা সাজা পেতে শুরু করেছেন। আমি সাধারণ মানুষকে বলব, একটু চোখ-কান খুলে রাখুন। এই মিথ্যার মধ্যে পড়বেন না। সত্য কিন্তু সামনে আসবে।'

প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী মামলায় ২১ টি ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ নেই বলে সিবিআই মামলা ফিরিয়ে দিয়েছে, এই তথ্য সঠিক নয় বলেই জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি থেকে এই তথ্য উঠে আসে। এরপর মঙ্গলবার সিবিআই-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ২১ টি ধর্ষণের ক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে যে তথ্য বেরিয়েছে, সেটা ভূল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা  বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, তাঁদের কাছে নির্দেশ ছিল খুন, ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করতে হবে। সেই মামলার শর্ত পূরণ হয়নি। সেই মামলা তাঁরা রাজ্য পুলিশ বা বিশেষ তদন্তাকারী দলের হাতে তুলে দিয়েছে। সেখানে আরও উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিশের নেওয়া ৬৪ টি মামলার মধ্যে ৩৯ টি মামলার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। শুধু খুন ও ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।সোমবার শুনানির পর যে, তথ্য সামনে এসেছে, তাতে ভূল ব্যাখা করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআই-র।

Read more Articles on
Share this article
click me!