চাকরি দিয়ে আদতে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছেে। পুরো বিষয়টাই বেআইনি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।
বগটুই নিয়ে ফের মামলা হাইকোর্টে। নিয়ম না মেনেই বগটুইয়ের ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। চাকরি দিয়ে আদতে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টাই বেআইনি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলার প্রেক্ষিতে বগটুইকাণ্ডে রাজ্য়ের তরফ থেকে হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া ঠিক কী ছিল, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ। দুই সপ্তাহেরহ মধ্যে রাজ্যকে ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, বগটুইহত্যাকাণ্ডের পর নিজে সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখান থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য এবং ক্ষতিপূরণের কথা বলেন। তিনি বলেন মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ঠিক করতে ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। প্রয়োজন পড়লে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এদিকে সম্প্রতি নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কাজে যোগ দিতে এই দশ জনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, জেলা শাসককে তা দেখার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেখান থেকেই ভারচুয়ালি নিহতদের পরিবারকে চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর এরপরেই অভিযোগ ওঠে যে, ' নিয়ম না মেনেই বগটুইয়ের ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। চাকরি দিয়ে আদতে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টাই বেআইনি', এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। জানা গিয়েছে, পরবর্তী মামলার শুনানি রয়েছে ২৬ জুলাই।
আরও পড়ুন, 'বাঁচার সম্ভাবনা কম, ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে,' অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
আরও পড়ুন, নির্যাতিতার মৃতদেহ দাহ করতে জোর খাটিয়েছিল, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআরও জালে আরও ৩
প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন নাম ভাদু শেখ। গত সপ্তাহে সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জনবহুল এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অন্যান্যরা ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি খুনের বদলায় শিশু -মহিলা সহ একাধিক জনের আগুনে পুড়ে মৃত্য়ু হয়।
আরও পড়ুন, 'মোদী-যোগী চুপ কেন', উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস