প্রতিবন্ধী নন, হাঁটুর সমস্যার জন্য হুইলচেয়ারের সাহায্যে চলাফেলা করতে হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে অ্যাপ ক্যাব চালকের হাতে চরম হেনস্থা হতে হল এক মহিলাকে। শারীরিক প্রতিবন্ধীর তকমা দিয়ে তাঁকে অ্যাপ ক্যাবের চালক গাড়িতে তুলতেই চাননি বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিযোগকারী। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। এই ধরণের ঘটনা ঠেকাতে বিমাবন্দর লাগোয়া এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওই মহিলা নিজে অবশ্য থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাননি বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সেদিন সন্ধেবেলায় দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছন অভিযোগকারী মহিলা। হাঁটুর সমস্যার জন্য হুইচেয়ার ছাড়া চলেফেলা করতে পারেন না। তাই বিমানবন্দর নেমেই প্রথমে একটি হুইলচেয়ার চেয়ে নেন তিনি। ওই মহিলার দাবি, বিমানবন্দর থেকে বালিগঞ্জের কাঁকুলিয়া রোডে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাপ ক্যাব বুক করেছিলেন। কিন্তু অ্যাপ ক্যাবের চালক দীর্ঘক্ষণ তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেননি। বহুক্ষণ পর যখন অ্যাপ ক্যাব আসে, তখন ওই মহিলাকে প্রতিবন্ধী তকমা দিয়ে চালক গাড়িতে তুলতেই চাননি বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, তাঁকে হুইলচেয়ার বসে থাকতে দেখে গাড়ির দরজাই খোলেননি চালক। জানলার কাঁচ নামিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, অ্যাপ ক্য়াবের বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? ওই মহিলা যাত্রীদের অভিযোগ, চালক বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনি নাকি অ্যাপ ক্যাবে চড়তে পারবেন না! অভিযোগকারীর দাবি, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত প্রিপেড ট্যাক্সি বুক করে কোনওমতে গন্তব্য পৌঁছান তিনি।
ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে ঘটনাটি জানিয়েছেন ওই মহিলা যাত্রী। তাঁর প্রশ্ন, কলকাতা কি মানবিকতা হারাচ্ছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি নজরে পড়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, 'হোয়াটসঅ্যাপ মারফৎ ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেছেন।'