তৃণমূলে থাকাকালীন মুকুল রায়ের খুব 'কাছের লোক' ছিলেন সুজিত সাম। সেই সুজিতের করা এফআইআরের জন্য এখন অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলেও জেরা এড়াতে পারলেন না মুকুল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১ টায় কালীঘাট থানায় দেখা করতে হবে তদন্তকারী অফিসারের (আইও) সঙ্গে৷ এর একদিন পর আইও'কে কোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷
গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল নেতা সুজিত সাম কালীঘাট থানায় একটি এফআইআর করেন। তাঁর অভিযোগ, এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে দেড় কোটি টাকা দিলে তাঁকে একটি সিডি দেওয়া হবে বলে জানান। ওই সিডিতে রাজ্যের শাসকদলের বিপক্ষে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে৷ সুজিতের অভিযোগ, তাকে অপরিচিত ওই ব্যক্তির ফোন করার পেছনে মুকুল রায়ের 'কারসাজি' রয়েছে৷ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন মুকুল।
কালীঘাট থানা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুলকে ডেকে পাঠায়। গত ১৮ জানুয়ারি তিনি থানায় গিয়েছিলেন। ২৩ জানুয়ারি ফের নোটিশ দেওয়া হয় ২৮ তারিখ থানায় আসার জন্য। এরই মধ্য়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন করেন হাইকোর্টে। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সরকারি আইনজীবী মধুসূদন শূর বলেন, মুকুলের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে৷ পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি৷ তদন্তের প্রয়োজনে ফের তাঁকে জেরা করার দরকার।
কিন্তু মুকুলের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও শুভাশিস দাশগুপ্তর দাবি, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সারবত্তাহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালত ওই এফআইআর খারিজ করুক। এছাড়া, দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত থাকবেন। তাই ২৮ জানুয়ারি তাঁর পক্ষে কালীঘাট থানায় যাওয়া সম্ভব নয়৷ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মুকুল রায়কে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টায় কালীঘাট থানায় তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।