পূর্ব মেদিনীপুরের ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল আত্মীয়ের। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তের মুক্তি হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে৷
তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
২০১২ সালের ২৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানা এলাকার ৫ বছরের একটি শিশু স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে লজেন্স, জামাকাপড়ের লোভ দেখিয়ে তাকে তার পিসেমশাইয়ের ভাই বাড়ি নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর শিশুটিকে স্নান করানো হয়। পরে পিসেমশাই বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে আসে শিশুটিকে। ঘটনার ৫ দিন পর নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় শিশুর পরিবার। গ্রেফতার হয় গুরুপদ দাস নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। ২০১৪ সালে নিম্ন আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন সাজা হয় তার।
এবার কিডনিতেও ছড়াল সংক্রমণ, পোলবায় জখম ঋষভের অবস্থার আরও অবনতি
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গুরুপদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কল্লোল মন্ডল বলেন, প্রথমে বলা হয় শিশুটি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। আবার এও বলা হয় বাড়ির কাছে অন্য একটি শিশুর সঙ্গে খেলা করার সময় তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ফলে কোন বক্তব্য সঠিক তা স্পষ্ট নয়। এমনকী ঘটনাস্থলটাই বা ঠিক কোথায় সেটাও অস্পষ্ট। কারণ শিশুটি একেক সময় একেক রকম কথা বলেছে। এছাড়া ঘটনার পরপরই থানায় না গিয়ে ৫ দিন পর শিশুর পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গেল কেন? ঘটনার সময় ব্যবহৃত গুরুপদ দাসের পোশাকের ফরেন্সিক পরীক্ষা হল না কেন? এছাড়া শিশুর মেডিকেল পরীক্ষার পর বিভিন্ন নথিতে তারিখ উল্লেখের মধ্যেও বিস্তর গলদ রয়েছে৷
কী গল্প কলকাতাকে শোনাল রোবট কন্যা সোফিয়া, দেখুন সেরা ১২ ছবি
ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীর আইনজীবীর দেওয়া যুক্তিগুলিকে মান্যতা দিয়েছে। ওই ব্যক্তিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি এবং বিচারপতি মহম্মদ নিজামউদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চ৷ ফলে শিশু ধর্ষণে নন্দকুমার থানার পুলিশের তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।