টালা সেতুর সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সেতুর নীচে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের কাছে এ প্রসঙ্গে হলফনামা তলব করল কোর্ট।
টালা সেতু সংস্কারের জন্য সেতুর নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা না করেই তাদের অস্থায়ী শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে সেখানকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদের ক্ষোভ। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন রাজা হাজরা এবং বিশ্বজিৎ মন্ডল নামে সেতুর নীচে থাকা দুই বাসিন্দা। সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে।
মামলাকারীদের আইনজীবী সায়ন্তী সেনগুপ্তের বক্তব্য, সেতু সংস্কারের কাজ হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আমাদের সেতুর নীচে ফেরানো হবে কিনা জানানো হোক। না হলে রাজ্য সরকার পুনর্বাসনের জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা স্পষ্ট করা হোক। কারণ, অস্থায়ী শিবিরে থেকে একজনের ডেঙ্গু হয়েছে। একজন তো আবার ক্যানসার রোগীও রয়েছেন। কিন্তু সরকারি আইনজীবী শীর্ষণ্য় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাউকে ফাঁকা জায়গায় রাখা হয়নি৷ পলিথিনের শেড এবং টয়লেট তৈরি করে যথাযথভাবেই তাদের রাখা হয়েছে। ৫ শতাংশ বাসিন্দা রয়েছেন টালা থানা এলাকায়, আর বাকিদের চিৎপুর থানা এলাকায় সরানো হয়েছে।
বিচারপতি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, টালা সেতুর নীচে থাকা বাসিন্দাদের নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ দু'সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে৷ মামলাকারীদের এ নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকলে তা এক সপ্তাহ পর জানাবেন ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বর।