এসএসকেম-র উডবার্ণ ওয়ার্ডে ১৭ দিন কাটিয়ে ইতিমধ্য়েই চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন কেষ্টর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে ওই আইনজীবী এদিন বলেন, শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল। তবে কি আবার ভর্তি হবেন অনুব্রত।
এসএসকেম-র উডবার্ণ ওয়ার্ডে ১৭ দিন কাটিয়ে ইতিমধ্য়েই চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অণ্ড কোষের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এদিকে ফের শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি বেশ অসুস্থ। তবে কি ফের হাসপাতালে ভর্তি হবেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার তাঁর চিনার পার্কের বাড়িতে এসেছিলেন তার আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। কেষ্টর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে ওই আইনজীবী এদিন বলেন, শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল।তাই আবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তবে কি আবার ভর্তি হবেন অনুব্রত। এই প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি কেষ্টর আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর আড়াইটেয় ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার জন্য ইতিমধ্য়েই প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে সিবিআই। তবে তাঁদের কোনও প্রতিনিধি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন কিনা, তা এখন জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছিলেন তিনি। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটতে না কাটতেই, তার আগেই হাজিরার জন্য সিবিআইয়ের তরফে নোটিস পাঠানো হয়। তবে এবারও সেই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলার তদন্তে শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, তিনি যেতে পারেননি। যাননি তাঁর আইনজীবীও। গরু পাচার মামলা ছাড়াও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হয়েছে রবিবার দুপুরে। অবশ্য সেই হাজিরাও তিনি দেবেন না বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সেই কথা জানিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে ইমেলের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি হাজিরা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'বাঁচার সম্ভাবনা কম, ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে,' অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এদিকে সোমবার দিলীপ ঘোষ বলেন, 'হয় অনুব্রতকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে নয়তো জেলে। অনুব্রত জেলে থাকলে ঠিক আছে। নিরাপদে থাকবেন। হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অনুব্রত অনেক মামলায় অভিযুক্ত। একটা চাবি হারিয়ে ফেললেই হল। তাই তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য ওকে মেরে ফেলা হতে পারে।' তবে দিলীপ ঘোষই নন, এর আগে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন বিজেপির বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, 'আমার মনে হয় অনুব্রত মণ্ডল ফিরতে পারবেন না। ফিরলেই ওনাকে সিবিআই-র কাছে যেতে হবে। আর ওখানে গেলে সবার সব কিছু ফাঁস হয়ে যাবে। আমার মনে হয় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইনজেকশনে উডবার্ণ ওয়ার্ডেই মরতে হবে ওনাকে।'
আরও পড়ুন, নির্যাতিতার মৃতদেহ দাহ করতে জোর খাটিয়েছিল, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআরও জালে আরও ৩