'ছোট ঘটনা'য় কেন বন্ধ ট্রেন, রেলকেই কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

 

  • নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে এ রাজ্যে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা
  • সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য় রেলকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের পথে নামলেন তিনি
  • যাদবপুর থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন তিনি

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 17, 2019 9:31 AM IST / Updated: Dec 17 2019, 03:03 PM IST

পুড়েছে ট্রেন, ভাঙচুর চলেছে স্টেশনেও। এ রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য রেলকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'দু'একটা ছোট ঘটনা ঘটছে। আর তাতেই ট্রেন বন্ধ! রেলের সম্পত্তি রেলকেই রক্ষা করতে হবে।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আইন পাশ করিয়ে নেওয়া যায়। মানুষের সমর্থন ছাড়া আইন কার্যকর যায় না।'

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবারও ফের পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  যাদবপুর থেকে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন তিনি। যাদবপুরে মিছিল শুরুর আগে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মোদী সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,  'বিজেপি ভাবছে, দেশ দখল করে নিয়েছে। সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন করা হয়নি। সংসদে যে বিল পেশ করা হবে, তা আগে থেকে জানানো হয়নি। ফলে অধিবেশন অনেক সাংসদ পৌঁছতে পারেননি।' মুখ্যমন্ত্রী ফের হুঁশিয়ারি দেন, 'নাগরিকত্ব আইন করে দেশ বিভাজন ও বাংলা ভাগের চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না। কাউকে বাংলার ছেড়ে যেতে হবে না।' স্রেফ মুখের কথাই নয়, ধর্মতলার রোড রোড-এর মতোই যাদবপুরেও মিছিল শুরুর আগে উপস্থিত সকলকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শথপবাক্যও পাঠ করিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নাগরকিত্ব আইন বিরোধী মিছিলে শামিল হন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, অভিনেতা সোহম-সহ আরও অনেকে। মিছিল শেষে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারেও জনসভা হয়।


উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সোমবার প্রথম পথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন  ধর্মতলার রেড রোড থেকে উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পর্যন্ত মহামিছিল করেন তিনি। মিছিল শুরু আগে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তি মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনে দোহাই হয়ে বাংলা থেকে কাউকে তাড়াতে দেওয়া হবে না উপস্থিত সকলকেই শপথ বাক্য পাঠ করান।  এদিকে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের মহামিছিল নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়। তাঁর বক্তব্য, খাস কলকাতায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে  মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রী উপস্থিতিতে মিছিল হলে উত্তেজনা আরও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু আন্দোলন থেকে সরছেন না। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আরও এক মিছিলে হাঁটবেন তিনি।  

Share this article
click me!