বেশ কযেকদিন ব্য়াকফুটে ছিলেন তিনি। জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনেই তাঁর অভিব্যাক্তি নিয়ে বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ছিল না। এই প্রথম হাত খুলে খেললেন মমতা। ইফতারের দাওয়াতে যাওয়া বা নিমতা ছুটে যাওয়ার পরে সোজা ছক্কা হাঁকালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নতে রাজনৈতিক মন্ত্রণাদাতা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন 'শকুনি' হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর। নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের প্রধান স্তম্ভগুলির একজন এই ব্যক্তি। দীর্ঘদিন মোদীর মন্ত্রণাদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকে ছিল।
সূত্রের খবর লোকসভা নির্বাচনের বিপর্যয়ের কারণেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বসতে চাইছিলেন মমতা। এদিন মুখোমুখি আলোচনায় দু'জনের কয়েক প্রস্থ কথা হয়েছে পরবর্তী স্ট্র্র্যাটেজি নিয়ে। নির্বাচনে ভরাডুবির পরেও নৌকার হাল ধরতে বারবার ব্য়র্থ হচ্ছেন মমতা। বিজেপির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে 'দিদির করিশমা'। তাই বিপদ বুঝেই এই কৌশল মমতার। নেত্রী ভালই জানেন এখনই বিধানসভার হাল না ধরতে পারলে দেরি হয়ে যাবে। দলীয় বৈঠকে ইতিমধ্যেই কর্মসূচি জানিয়ে দিয়েছেন। এবার প্রশান্তের সঙ্গে দেখা করে সম্ভবত মমতা চাইছেন তাঁর নিজস্ব কাজের রূপরেখা স্থির করতে। বহু অর্জুনের রথের সারথী এই কৃষ্ণ কতটা মাইলেজ দেন মমতাকে, সেটাই দেখার।