সন্ময় বন্দ্যোপাধ্য়ায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্য়পালের দ্বারস্থ কংগ্রেস

  • সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্যপালের কাছে কংগ্রেস
  • সন্ময়বাবুকে জঙ্গির মতো গ্রেফতার করে তাঁর সাথে অত্যাচার করা হয়েছে
  • এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা আব্দুন মান্নান
  •  মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোকে নিয়ে মন্তব্য করায় এই গ্রেফতারি  বলে অভিযোগ 

Asianet News Bangla | Published : Oct 21, 2019 10:02 AM IST

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন কংগ্রেস নেতারা। এদিন রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, সন্ময়বাবুকে জঙ্গির মতো গ্রেফতার করে তাঁর সাথে অত্যাচার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপোকে নিয়ে মন্তব্য করায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।

কংগ্রেস নেতার অভিযোগ,এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা প্রমাণ করে, এউ ঘটনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। তাঁর যোগসাজশ ছাড়া এই ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক ও ধিক্কারজনক। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল রানু সাহা মঞ্চে বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ সভা করবেন। আমরা যা শুনেছি তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে । সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরলে তার সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে দল।   

অন্যদিকে, সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তার কোনও স্পষ্ট জবাব রাজ্য সরকারের কাছে নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মমতা সমালোচনা করলে কেন এরকম অবস্থা হবে। এর উত্তর দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আমরা নরেন্দ্র মোদীর ঘোর সমালোচক। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন তাতে দেশ একটা কঠিন সময়ের মধ্যে চলছে । পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের স্বাধীন মতামত রাখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষেয়ে রাজ্যপালকে বলা হয়েছে। আমাদের আশা, রাজ্যপাল বিষয়গুলো বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

জানা গেছে,বৃহস্পতিবার রাতে খড়দহের বাসিন্দা সন্ময়বাবু সোদপুরে এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই পুলিশের একটি দল সন্ময়বাবুকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে কংগ্রেস নেতাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস নেতার পরিবাররের লোকজন। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ যে তাঁকে নিয়ে গিয়েছে সেটাও তাঁর পরিবার জানতে দেওয়া হয়নি। এর পরেই সন্ময়বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে খড়দহ থানায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে এফআইআর করতে গেলেও পুলিশি হয়রানির মুখে পড়তে হয় পরিবারকে। পরে অবশ্য কংগ্রেস নেতাকে পেতে পুরুলিয়া থানায় যোগাযোগ করার কথা বলা হয় সন্ময়বাবুর পরিবারকে।

Share this article
click me!