রাজ্যে গত চব্বিশ ঘন্টায় লাগাম ছাড়া কোভিড সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ ৭৫২ থেকে একলাফে ১ হাজার পার করল।
রাজ্যে গত চব্বিশ ঘন্টায় লাগাম ছাড়া কোভিড সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ ৭৫২ থেকে একলাফে ১ হাজার পার করল। মূলত ক্রিসমাসের পরেই উৎসবের মরশুমে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ায় সংক্রমণের সম্ভবনা বেড়ে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এদিকে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ দেশের একাধিক রাজ্য নাইট কার্ফু সহ একধিক বিধি চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও তা শিথিল রয়েছে। বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন (WB Health Department Bulletin) অনুযায়ী রাজ্যে এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১০৮৯।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ১০৮৯ জন। যেখানে সবার শীর্ষে সংক্রমণ হয়েছে কলকাতায়।এবার একদিনে ৩৮২ থেকে বেড়ে ৫৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে মহানগরে। কলকাতায় মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩৩৪, ৭২৩ জন। তবে এবার কলকাতার থেকে অনেকে নিচে উত্তর ২৪ পরগণা। উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে ১৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে হাওড়াতে ৭৯ জন এবং হুগলিতে ৫৯ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ জন। অপরদিকে একদিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়গ্রাম। এখানে একদিনে ১ আক্রান্ত হয়েছেন।পাশাপাশি, ৩ জন করে আক্রান্ত হয়েছে পুরুলিয়ায়, আলিপুরদুয়ারে। ৪ জন করে আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিংপংয়ে।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন, কোভিডে মৃত্যু বেড়ে এবার ৭ জেলায় দাঁড়িয়েছে। তবে এবার মৃত্যু ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য়ে ৩ জন করে কলকাতা এবং হাওড়ায়। ২ জন উত্তর ২৪ পরগণায় এবং ১ জন করে হুগলি, নদিয়া, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। পাশপাশি পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে, পূর্ব মেদিনীপুর, দার্জিলিং ,দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, মালদহ, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, পুরলিয়া, কোভিডে আক্রান্ত মৃত্য়ু থেমেছে। উল্লেখ্য, কোভিড বর্ষে রাজ্যের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায়। কলকাতায় এখনও অবধি মোট মৃতের সংখ্যা ৫,৩১১ বেড়ে জন। উত্তর ২৪ পরগণায় এখনও অবধি মোট মৃতের সংখ্যা ৫০১২ জন।
অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৭,৭২৭ জন। কমেছে কোভিড জয়ীর সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০৭ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬,৩২, ৯০৬ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার আবার কমেছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থতার হার, ৯৮.৩২ শতাংশ। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ দেশের একাধিক রাজ্য নাইট কার্ফু সহ একধিক বিধি চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও তা শিথিল রয়েছে। এদিকে সংক্রমণ বাড়তেই এবার কনটেন্টমেন জোন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।