এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় শ’খানেক বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর সেই কারমেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সাথে বিজেপি প্রার্থী এবং বিধায়কের বেশ কিছুক্ষণ বচসা চলে। বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার সহ অনেকেই।
নতুন বছরের শুরু থেকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত(Corona infections are on the rise in the state) শুরু হতেই জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন(Partial lockdown)। যার জেরে ফের ঘর বন্দি দশা শুরু হয়েছে বঙ্গবাসীর। এদিকে চলতি মাসের শেষেই বাংলার চার পুরনিগমে রয়েছে ভোট(votes in four municipalities of Bengal)। কিন্তু ভোট প্রচারে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু তারপরেও বিধি ভেঙে মিছিল করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, রবিবার সকাল থেকেই চন্দননগরের ২৬ নং ওয়ার্ডে(Ward 26 of Chandannagar) বেশ কিছু লোকজন নিয়ে মিছিল করে প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। খবর পেয়ে চন্দননগর থানার পুলিশ(Chandannagar police) সেখানে গিয়ে মিছিল আটকায়। গ্রেফতার করা হয় পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, প্রার্থী সন্ধ্যা দাসসহ বেশ কিছু কর্মী-সমর্থককে। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হুগলীর রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় শ’খানেক বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আর তার ফলেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সাথে বিজেপি প্রার্থী এবং বিধায়কের বেশ কিছুক্ষণ বচসা চলে। বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, যুব মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরেশ সাউ। নির্বাচন কমিশনের বিধি অমান্য করে কেন মিছিল করা হল সেই বিষয়ে পুলিশের তরফে প্রশ্ন করা হলে পাল্টা তর্ক জুড়ে দেন বিজেপি নেতারা। চলতে থাকে তর্কাতর্কি। নিয়ম ভেঙে শাসক দলের নেতারা প্রচার চালালেও তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেই অভিযোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ।
আরও পড়ুন- বাংলায় কথা বলা নিয়ে বড়বাজারে হেনস্থার শিকার বাঙালি, জোরদার আন্দোলনে বাংলাপক্ষ
তবে এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে ৫ জনকে নিয়ে প্রচার করতে রাজি হয়। কিন্তু প্রচারের ক্ষেত্রে আবার সেই একসঙ্গে মিছিল করে অনেক লোককে দেখা যায়। তারপরই মাঠে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পুড়শুড়া বিধায়ক বিমান ঘোষ, সভাপতি তুষার মজুমদার ,যুব সভাপতি সুরেশ সাউ এবং স্থানীয় প্রার্থী সন্ধ্যা দাস সহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থককে। এদিকে পুলিশি গ্রেফতারির প্রতিবাদে এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গেরুয়া সমর্থকেরা। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে চলতে থাকে স্লোগানিং। এদিকে গ্রেপ্তারির পর প্রথমে ধৃতদের চন্দননগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আধ ঘন্টা পর সকলকেই জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।