শহরে ফের ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু। শুক্রবার বাইপাসের ধারের এক হাসপাতালে মারা যান বছর ২৪-এর এক যুবতী।
জানা গেছে,নারায়ণপুর থানা এলাকার পার্থ নগরীর বাসিন্দা ওই যুবতীর নাম মামনি দাস। রবিবার তাকে নারায়ণপুরের মাতৃ সদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার রক্তের পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতেই বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মামনিকে। সেখানে তার অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার তার ডায়ালিসিস করা হয়। পরে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয় তাকে। হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, রাত থেকেই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিধাননগরের উপমহানাগরিক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা খবর পাওয়ার পর থেকেই তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ডেঙ্গু এখন বড়সড় ব্যাধির আকার ধারণ করেছে। আমরা সকলে মিলে এই সমস্যার পাশে দাঁড়াতে চাই। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলা করার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছি আমরা।'
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১৭ ছাড়িয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০ জন পেরিয়ে গেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছে ১৩ জন । বেসরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ৪ জন। যা ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীর মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্যের ডেঙ্গুর সমস্যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিরোধীরা। যার উত্তরে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, তিনিও রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।