আমফানে দুর্গতদের সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা দিন, মোদীকে চিঠি দিলীপের

Published : May 22, 2020, 10:52 PM IST
আমফানে দুর্গতদের সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা দিন, মোদীকে চিঠি দিলীপের

সংক্ষিপ্ত

সরাসরি আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিক কেন্দ্র রাজ্য় বিজেপির দেওয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি দিলীপের অতীতে রাজ্য়ে ত্রাণ পাঠালেও সেই টাকা দুর্গতদের কাছে পৌঁছয়নি  তাই নতুন করে যেন এই ভুল না করে কেন্দ্রীয় সরকার  

মমতা সরকারের মাধ্য়মে নয়, সরাসরি আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিক মোদী সরকার। রাজ্য় বিজেপির দেওয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদের অভিযোগ, অতীতে রাজ্য়ে কেন্দ্র ত্রাণ পাঠালেও সেই টাকা দুর্গতদের কাছে পৌঁছয়নি। তাই নতুন করে যেন এই ভুল না করে কেন্দ্রীয় সরকার।

রাজ্য়ে আমফানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে শুক্রবারই রাজ্য়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  আমফান বিধ্বস্ত বাংলার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে আমফানে বাংলার পাশে দাঁড়াতে শুক্রবারই রাজ্য়ে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী।  বাংলার বিপর্যস্ত অবস্থা পরিদর্শন করতে এদিন হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে তিনি দুই ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। 

ম্যাপে পুরোনো অবস্থার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা মিলিয়ে দেখেন তিনি। পরিদর্শনকালে তাঁকে দেখা গিয়েছে বাইরে চোখ রাখলেও ম্যাপে নজর রাখতে। পরে বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্য়পাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। বসির‌হাট কলেজে বৈঠক করেন তারা। এদিন বসিরহাট কলেজ লাগোয়া পিছনের মাঠে তৈরি অস্থায়ী একটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল। সেখানেই এক চপার থেকে নামেন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল-প্রধানমন্ত্রী।

যদিও পরে এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ  বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতি, কত ক্ষতি হয়েছে তার একটা অনুমান চিঠিতে দিয়েছি। এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা চান কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সাহায্য করুক। তবে এর আগে আয়লা, বুলবুল কিংবা উত্তরবঙ্গে বন্যার ক্ষেত্রে যেটা দেখা গিয়েছে,তাতে দুর্গত মানুষরা ঠিকমতো সাহায্য় পায়নি। তাই আমরা বলেছি, রিভিউয়ের পর পাওনাগণ্ডা যেন সরাসরি দুর্গত আকাউন্টে দেওয়া হয়।

এই বলেই অবশ্য থাকেননি  দিলীপ ঘোষ। রাজ্য়ে প্রধানমন্ত্রী আসার বিষয়ে তিনি বলেন,  মুখ্যমন্ত্রী বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী চলে এসেছেন। বাংলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী সিরিয়াস। বাংলার মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসা, সমবেদনা এটা আমরা অনুভব করেছি। যদিও দিলীপবাবুর এই কথা নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল। এ বিষয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন,বড়দের বিষয়ে ছোটদের মাথা গলাতে নেই।

PREV
click me!

Recommended Stories

Lakshmir Bhandar: নতুন বছরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ডবল টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত? নয়া আপডেট
বিধায়ক হয়ে আয় একধাক্কায় দ্বিগুণেরও বেশি! জমি-ফ্ল্যাট-গাড়ি নিয়ে মোট কত সম্পত্তি হুমায়ুন কবীরের?