লাগাতার ২৬ দিন ধরে চলছে অনশন। অবশেষে পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাবে রাজি হলেন শিক্ষামন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সল্টলেকে বিকাশ ভবনে হবে বৈঠক। বৈঠকে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক বার্তা না পাওয়া পর্যন্ত কিন্তু আন্দোলন থেকে সরছেন না পার্শ্বশিক্ষকরা। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অনশন যেমন চলছে, তেমনি চলবে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বেতন কাঠামো চালু-সহ চার দফা দাবিতে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের খেলার মাঠে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজ্যের কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক। মঙ্গলবার তাঁদের অনশন ২৬ দিনে পড়ল। রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক বার্তা আসেনি। বরং কেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা স্কুলের অনুপস্থিত, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনকারীদের শোকজের চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে, তা কখনই বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনাচক্রে শোকজের চিঠি পাওয়ার পরই সুর নরম করেন আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকরা। গত শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছেই আলোচনায় বসতে চেয়েছে চিঠি পাঠান তাঁরা। সেই চিঠির জবাবেই পার্শ্বশিক্ষকদের আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বৈঠকে বসার আহ্বান জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক পার্শ্বশিক্ষকদের মৃত্যু নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, তিনিও সল্টলেকে অনশন আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে অনশন চালিয়ে যেতে পারেননি। পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ি ফিরে অনশনজনিত অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন ওই পার্শ্বশিক্ষক। এরপর সংসদের পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বস্তুত, পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন রাজ্য বিজেপিও। অনশন মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।