বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে সে। সম্পত্তির লোভে এবার মা-কেও মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টা করল মেয়ে! মঙ্গলবার সকালে ওই মহিলাকে নিজের ফ্ল্যাটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুরুতর আহত অবস্থায় সল্টেলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের জলবায়ু বিহার কমপ্লেক্সে।
আক্রান্ত মহিলার নাম দীপালি প্রতিহার। বিধাননগরের অভিজাত এলাকা জলবায়ু বিহার কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটে মেয়ে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে থাকেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ঋতুপর্ণার। ডিভোর্সের পর জলবায়ু বিহার কমপ্লেক্সের ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করে সে। তবে মা-মেয়ের একেবারেই বনিবনা ছিল না, অশান্তি লেগেই থাকত। আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা দেখেন, ফ্ল্যাটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন দীপালি আর তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণা চিৎকার-চেঁচামিচি করছেন। শেষপর্যন্ত গুরুতর আহত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে সল্টেলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দীপালিকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছিল, তখন সেখানে ছিল তাঁর মেয়েও। পরে পুলিশের নজর এড়িয়ে চম্পট দেয় সে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা দিয়েছে, সম্পত্তির লোভে দিন কয়েক আগে দীপালির স্বামী অর্থাৎ নিজের বাবাকেই ফ্ল্যাট থেকে তাড়িয়ে দেয় ঋতুপর্ণা। ওড়িশায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে মা-কে খুনের চেষ্টা করেছে মেয়ে। এলাকায়ও বিশেষ সুনাম নেই ঋতুপর্ণার, বরং ঝগড়ুটে হিসেবে পরিচিত সে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ আবার বলছেন, মানসিকভাবেও নাকি সুস্থ নয় ওই তরুণী। ঋতুপর্ণার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।