রিজওয়ানুর এখন অতীত কথা, কেমন আছেন প্রিয়াঙ্কা টোডি

  • রিজওয়ানুর মামলার পর থেকে বেপাত্তি তিনি
  • তাঁকে ঘিরে আষাড়ে গল্পের শেষ নেই
  • এখন কেমন আছেন প্রিয়াঙ্কা টোডি
  • বাবার ব্য়বসা না নিজেই কিছু করছেন প্রিয়াঙ্কা

Asianet News Bangla | Published : Oct 20, 2019 11:01 AM IST / Updated: Oct 20 2019, 05:14 PM IST

রিজওয়ানুর মামলার পর থেকে বেপাত্তি তিনি। তাঁকে ঘিরে আষাড়ে গল্পের শেষ নেই। এখন কেমন আছেন লাক্স কোজি সাম্রাজ্যের অন্যতম অংশীদার প্রিয়াঙ্কা টোডি।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরের কথা। রিজওয়ানুর রহমান মৃত্যু রহস্য ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এক গরিব মুসলিম ছেলের সঙ্গে শিল্পপতি হিন্দু ঘরের মেয়ের বিয়ে মেনে নেয়নি বিত্তশালীরা। অভিযোগ, শিল্পপতিদের প্রভাব কাজ  করে পুলিশ মহলেও। যার জেরে লাক্স কোজির মালিক অশোক ঢোডির মেয়েকে ছাড়তে বাধ্য় হন রিজওয়ানুর। শেষে স্ত্রীকে না পেয়ে আত্মহত্য়ার পথ বাছতে হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনার রিজওয়ানুর রহমানকে। যদিও রিজওয়ানুরের মৃত্যু নিয়েও থেকে গিয়েছে রহস্য। ট্রেন লাইনে হত্য়া না আত্মহত্যা তা নিয়ে এখনও ধন্দে একাংশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান প্রিয়াঙ্কা টোডি। অনেকেই বলেন, মান বাঁচাতে মেয়েকে দেশ থেকেই সরিয়ে দেন অশোক টোডি। একেবারে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অনেকে অবশ্য বলেন, লন্ডন নয়-দুবাইতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

 

তবে অতীত কথা ভুলে আবার দেখা গিয়েছে শিল্পপতি কন্য়াকে।  কিছু বছর আগে জি সিনে অ্যাওয়ার্ডে মুখ দেখিয়েছেন টোডি কন্য়া।  এমনকী প্রাপকদের ট্রফি তুলে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনেকেই বলেন, লন্ডনে বাবার ব্য়বসা  সামলান প্রিয়াঙ্কা। সূত্রের খবর, বর্তমানে মুম্বইতে থাকেন রিজওয়ানুরের স্ত্রী।  লাক্সের ক্রিয়েটিভ টিমের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। প্রিযাঙ্কার মুম্বইতে থাকার ধারণাটা যে অমূলক নয়, তা প্রিযাঙ্কার টুইটার হ্যান্ডেল দেখলেই বোঝা যায়। যেখানে ২০১৪ সালের ৩ মে শেষ টুই করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বাবার হাত ধরে লাক্সের অন্যতম প্রোডাক্ট 'অন' লঞ্চের ছবি পোস্ট করেন তিনি। হাসি মুখে প্রিয়াঙ্কার ছবি দেখে বোঝার জো নেই, এই মেয়েকে নিয়েই তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য।

বাম আমলের রিজওয়ানুর হত্য়ার ইতিহাস বলছে, গরিব মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় যেন তেন প্রকারে মেয়েকে ফেরত চাইছিলেন টোডিরা। তাই রিজওয়ানুরের বাড়িতে হনা দেয় পুলিশ। ডেকে পাঠানো হয় রিজওয়ানুর ও প্রিয়াঙ্কাকে। সূত্রের খবর, লাল বাজার থেকে বিয়ে ভাঙার কথা বলা হয় দুজনকেই। স্বামী, স্ত্রী রাজি না হওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য প্রিযাঙ্কাকে নিজের বাড়িতে  যেতে বলে পুলিশ। পরিবারকে মানিয়ে ফিরে আসতে বলে শ্বশুর বাড়িতে। পাশাপাশি রিজওয়ানুরকেও প্রিয়াঙ্কা ফিরে আসবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। এরপর প্রিয়াঙ্কা বাড়ি ফিরলেও আর আসা হয়নি রিজওয়ানুরের বাড়িতে। শেষ রেল লাইনে উদ্ধার হয় রিজওয়ানুরের লাশ। ইতি পরে 'অসম বিবাহের'।

 

রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই সময় রিজওয়ানুর হত্যা নিয়ে বামেদের ওপর চটে যায় মুসলিমরা। একদা বামেদের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসান তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রিজওয়ানুরের ভাই রুকবানুরকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন তিনি। কাঠগড়ায় তোলা হয় তৎকালীন পুলিশ কমিশনার প্রসূন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে।  
 

Share this article
click me!