মন্ত্রী হেনস্থা নতুন নয়, দিল্লিতে অমিত মিত্রের ধুতি ছিঁড়েছিল এসএফআই

  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা
  • এসএফআই ছাত্রদের হেনস্থার ঘটনায় সরব হয়েছে দেশ
  • ছাত্রদের হাতে মন্ত্রী হেনস্থার ঘটনা নতুন নয়
  • আগে দিল্লিতে এসএফআইয়ের হাতে হেনস্থা হয়েছেন অমিত মিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে এসএফআই ছাত্রদের হেনস্থার ঘটনায় সরব হয়েছে দেশ। অথচ রাজ্য রাজনীতির ইতিহাস বলছে,ছাত্রদের হাতে মন্ত্রী 
হেনস্থার ঘটনা নতুন নয়।

এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ২০১৩ সালে ৯ এপ্রিল দিল্লিতে মন্ত্রী হেনস্থার ঘটনা দেখে চমকে উঠেছিল রাজ্য। সেবারও কাঠগড়ায় উঠেছিল এসএফআই ছাত্রদের নাম। দিল্লির যোজনা ভবনে তৎকালীন প্ল্যানিং কমিশনের চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া সঙ্গে দেখা করতে  এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সে দিন প্ল্যানিং কমিশন থেকে বেরোনোর সময় এসএফআই ছাত্রদের হেনস্থার শিকার হন অমিত মিত্র। বাম ছাত্রদের সঙ্গে মহিলারা 
চড়াও হন অমিত মিত্রের ওপর। 

Latest Videos

সংবাদমাধ্য়মের সামনেই বুকে ধাক্কা দেওয়া হয় অর্থমন্ত্রীকে। মহিলারাও হাত লাগান সেই কাজে। পিছন থেকে মাথায় লাঠি মারে বিক্ষোভকারীরা। কোনওক্রমে মন্ত্রী পালাতে গেলে তাঁর ধুতি এমনকী জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরে অমিত মিত্র বলেন, হামলাকারীরা তাঁর মানি-ব্যাগ পর্যন্ত ছিনিয়ে নিচ্ছিল। শক্ত হাতে মানি-ব্যাগ ধরে বাঁচতে সক্ষম হন তিনি।  সেদিন সারা দেশের সামনে অসহায় দেখিয়েছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে। এমনকী সংবাদমাধ্য়মের কাছে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। নিপাট ভদ্রলোকের ভাবমূর্তির এহেন ব্য়ক্তির হাল দেখে সরব হয়েছিল অনেক বাম সমর্থকও।

প্ল্যানিং কমিশনে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, বামেরা তাঁকে এবং অমিত মিত্রকে মারার চক্রান্ত করেছে। তাই রাজধানীর বুকে এই ঘটনা ঘটল। হাতে লোহার রড নিয়ে তাঁদেরকে মারতে আসা হয়েছিল। কিন্তু এই ভাবে তাঁকে দমানো যাবে না। যদিও হেনস্থার ঘটনা সরাসরি অস্বীকার 
করেছিলেন তৎকালীন এসএফআই নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসএফআই। পুলিশ হেফাজতে ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদেই তাঁদের এই বিক্ষোভ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে মারা গিয়েছে সুদীপ্ত। বার-বার বলা সত্ত্বেও সেকথা স্বীকার করেছে না মমতার প্রশাসন। তাঁরা বলছে, পুলিশ ভ্য়ানে থাকার সময় লাইটপোস্টে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয়েছে সুদীপ্তর। তার জন্যই মমতার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ। 

বৃহস্পতিবারও সেই একই কথা শোনা গেল যাদবপুরের ছাত্রদের মুখে। মন্ত্রীর চুল টেনে, অশ্রাব্য গালিগালাজ করে জামা খুলে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ দেখাল এসএফআই সমর্থকরা। এমনকী রাজ্যপাল বাবুলকে উদ্ধার করতে এলে তাঁর গাড়িতেও চাপড় মারল বিক্ষোভকারীরা। কেন এই ধরনের বিক্ষোভ, তার উত্তর দিতে পারেনি বাম ছাত্ররা। 


 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

'পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদেরও Bangladesh-র মত অবস্থা হবে' Mamata-র দিকে আঙ্গুল তুলে আশঙ্কা Agnimitra-র
Hooghly-তে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ED-র বড়সড় অভিযান! এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে | Hooghly News Today
সনাতনীদের বিশাল মিছিল! Bangladesh-এ চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবীতে Kolkata উত্তাল |Chinmoy Krishna Das
Suvendu Adhikari : 'সোমবার বর্ডার-এ বুঝিয়ে দেবো ইউনূসকে' #shorts #suvenduadhikari #bangladeshcrisis
এটিএম লুঠের ছক ভেস্তে দিলো পুলিশ! ভীন রাজ্যের যোগ, চাঞ্চল্য New Barrackpore-এ | North 24 Parganas