আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। প্রায় ১০টি ঝুপড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভয়াবহ আগুন মহেশতলার আকড়া বস্তিতে। মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ মহেশতলা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আকড়া বস্তিতে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। প্রায় ১০টি ঝুপড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধে ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ আকড়া ফটকের প্রথমে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই লেগেছে আগুন। এরপরই আশপাশের বাড়িতে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখতে পেয়ে জল দিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। সবাই মিলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দিলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ১০টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হতাহতের কোও খবর নেই। ঘটনাস্থলে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- ইদের সকালে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ফোন মমতার, দিলেন দ্রুত নিয়োগের প্রতিশ্রুতি
সত্যপীর মাজার লাগোয়া এই বস্তির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। এদিকে মাথা উপর থেকে ছাদ চলে যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা। কান্নার রোল উঠেছে চারিপাশে। এখন এই অবস্থায় তাঁরা কী করবেন, কোথায় যাবেন তা কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। ইদ ও অক্ষয় তৃতীয়ার মতো একটা শুভ দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় থমথমে হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন- ইদের নামাজে রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন ধর্মের নামে দেশকে টুকরো টুকরো করা চলবে না
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের একটি কারখানায় আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে স্থানীয়দের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের কথায়, ওই জায়গায় আগেও আগুন লেগে ছিল। সেই আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছিল কারখানাটি। সেই সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছিল দমকলকর্মীদের। পুরো একদিন জ্বলেছিল আগুন। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন দমকল কর্মীও। এদিকে উৎসবের দিনে ট্যাংরার সেই স্মৃতি ফিরে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ বাসিন্দারা। এই মুহূর্তে ঘর হারিয়ে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- 'সিবিআই এলেই অনুব্রত অসুস্থ হয়ে যায়', বিস্ফোরক মদন মিত্র