ভুঁয়ো নোটিস করপোরেশন চত্বরে। করোনাকালে আর্থিক সঙ্কটের জন্য পুরসভার কর্মীদের বেতন ও পেনশন আপাতত বন্ধ থাকবে। নোটিশের সত্যতা উড়িয়ে কলকাতা মেয়র জানালেন, করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হলেও কর্মীরা সঠিক সময়ই বেতন ও পেনশন পাবেন।
এবার নাকি পুরসভার (Corporation) নামে ভুঁয়ো নোটিস (Fake Notice)। আর সেই নোটিসকে ঘিরে মাস পাঁচেক আগে পুরসভা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল উদ্বেগ। কারণ সেখানে লেখা ছিল, করোনাকালে আর্থিক সঙ্কটের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের পেনশন (pension) আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হবে না। এই ধরনের নোটিস প্রকাশ্যে আসার পর করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ভিত যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সেই কথা যেমন একদিকে স্বীকার করে নিয়ছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র (Mayor) ফিরহাদ হাকিম (Firhad hakim), ঠিক তেমনই এই নোটিসের কোনও সত্যতা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। এটিকে পুরোপুরি ভুঁয়ো নোটিস (Fake Notice), বলেছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কারা এই ধরনের নোটিস তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে সেই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। খোদ পুরকমিশনার বিনোদ কুমার এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন। উল্লেখ্য, এই ধরনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের (Corporation Ex And Present Employees)।
মানুআর্থিক সঙ্কেটের জেরে পুরসভার কয়েক মাস আগে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে না, এই বিষয় নিজেই অবদগত ছিলেন না পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার এই কথা নিজের মুখে বলেন তিনি। এই ধরনের ভিত্তিহীন ভুঁয়ো খবরে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল সেই বিষয়টাকে স্বীকার করে নিয়ে তিনি সকলকে আস্বত্ব করে বলেছেন, এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটবে না। পুরসভায় প্রবল আর্থিক সংকট আছে একথা ঠিক, কিন্তু সময়েই পুরকর্মীদের বেতন ও পেনশন দুই-ই হবে। তাঁর বক্তব্যে আস্তত্ব হয় পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। পুরসভার অধিবেশনে কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের কাউন্সিলরদের সাম্মানিক বৃদ্ধির প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে এদিন মেয়র বলেন, ঠিকাদারদের বিলের পাওনা ও পে-কমিশনের জেরে কর্মীদের বর্ধিত বেতনের অংশ মিলিয়ে পুরসভাকে প্রায় হাজার কোটি টাকা মেটাতে হবে। এছাড়াও অতিমারি করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরে দৈনন্দিন পুরপরিষেবা চালানোর জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে। পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) আর্থিক সংকট সামাল দিতে গাড়ির তেলের খরচ কমানো থেকে বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
আরও পড়ুন-Narada Case: 'আজ নারদা মামলায় আমরা হাজির হয়েছি, জর্জ সাহেব কথা শুনেছেন', কী বার্তা মদনের
আরও পড়ুন-ওরা বাদ দিয়েছে আমরা শুরু করব, Netaji জয়ন্তীতেই যোজনা কমিশন তৈরির ঘোষণা মমতার
আরও পড়ুন-Firhad Hakim: করোনা মোকাবিলায় একাধিক নতুন পদক্ষেপ, ঘোষণা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
শুক্রবার টাউন হলে মাসিক অধিবেশন শেষে ফের মেয়র দাবি করেন, পেনশন নিয়ে পুরোপুরি ফেক নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে পুরসভা বিভাগীয় কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এদিন টাউন হলের বাইরে অধিবেশনে ঢোকার আগে নো পেনশন, নো কেএমসি প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়কদের মতো পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরদেরও পেনশন চালুর প্রস্তাব দেন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। জবাবে ফিরহাদ বলেন, রাজ্যের পুর আইনে এমন কোনও ব্যবস্থা চালু করার সুযোগ নেই তবে প্রস্তাবটি পুর দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।