মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতার একাধিক বাজারে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা। তবে ইবি- অভিযান নিয়ে ক্রেতাদের তেমন হেলদোল নেই।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতার একাধিক বাজারে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা। শুক্রবার সকালেই শহর কলকাতার বড় পাইকারি বাজারগুলিতে হানা দেন ইবির দল। মূলত ক্রমাগত জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির জেরে কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে শাকসবজি, ফল মাছ, মাংসের দাম। মূল্যবৃদ্ধি এই হারে বাড়তে থাকলে নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা আমজনতার। দেশের ৫ রাজ্যের ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পেট্রোল-ডিজেলে মাত্রা ছাড়ানো মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এনিয়ে রীতিমত চিন্তায় রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যোমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এনিয়ে ইতিমধ্য়েই নবান্ন সভাঘরে বসে রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদস্ত আমলা, টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি এবং বাজার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে বাজারে কোনও অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দরে কিছু বিক্রি করছেন কিনা এবং ব্ল্যাকে কিছু জমাচ্ছেন কিনা, এনিয়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে খতিয়ে দেখতে বলেন। নির্দেশ পেতেই শুক্রবার শহরে একাধিক বাজারে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
চড়া দামের কারণ কী, বিক্রেতাদের জিজ্ঞেস করলেন ইবি
এদিন সকালে কলকাতার একাধিক বাজারে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। শ্যামবাজার, হাতিবাগান, লেক মার্কেট সহ শহরের একাধিক বাজারে গিয়ে ব্যাবসায়ীরদের কাছে গিয়ে জানাতে চান সবজি-সহ অন্যান্য সব কিছু দর। কত দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। এবং মুদি খানার দোকানও সেই তল্লাশির তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। খাদ্যদ্রব্যের খুচরো এং পাইকারি বিক্রেতা প্রত্যেকের কাছেই যান ইবি-র দল। বেশি দাম হলেই তার কারণ জিজ্ঞেস করেছেন তাঁরা। বিক্রেতারদের দাবি, লাগাতার জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে তাঁদের গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। মাল পরিবহণের খরচও তাই বেড়েছে তাঁদের অনেকটাই। তাই বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে, যার দরুণ দাম বাড়াতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন। বহু ব্যবসায়ীর দাবি, বেশি লাভ তাঁরা করছেন না। নাম মাত্র লাভেই খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছেন তাঁরা।
তবে ইবি- অভিযান নিয়ে ক্রেতাদের তেমন হেলদোল নেই
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বসে রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।জ্বালানীর দাম বাড়ার ফলের বাজারে প্রতিটি জিনিসের দামই আকাশ ছোয়া। বাজারে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে হাতে। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর উদ্য়োগ নেন মমতা। টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে দাম নিয়ন্ত্রনে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কেন্দ্র কিছু করছে না। পেট্রোপণ্য়ের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রন করা উচিত ছিল। তা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। প্রয়োজনে বাজারে বা গাড়ি ভাড়া করে কমদামে জিনিসপত্র মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।মুখ্যন্ত্রীর নির্দেশ, বেআইনি মজুত করা যাবে না।তবে ইবি- অভিযান নিয়ে ক্রেতাদের তেমন হেলদোল নেই। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আগেও বহুবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বাজারে এসেছে। তারপরেও তাঁদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জিনিসপত্র কিনতে হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহারে দাম বাড়ছে তাঁতে বাজারে গেলে হাত পুড়ছে বলে জানান তাঁরা।