Governor-Chief Secretary: পরামর্শদাতা নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন, মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের

বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট অর্থাৎ পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। পরামর্শদাতা নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে এবার তলব রাজ্যপালের। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 28, 2021 11:49 AM IST / Updated: Dec 28 2021, 05:23 PM IST

পরামর্শদাতা নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট অর্থাৎ পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৪০ টি দফতরে কনসালটেন্ট এবং সিনিয়ার কনসালটেন্ট নিয়োগের কথা হয়। কিন্তু এই নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। 

 

উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট অর্থাৎ পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার।এবার সেই নিয়োগকে ঘিরে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য়পাল। মঙ্গলবার এই নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজ্যেপালের কাছে যেতে হবে। ফের এই টুইট ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত আরও একধাপ উসকে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে একাধিক প্রকল্পকে আরও ভালভাবে নজরদারি করতে বিভিন্ন দফতরে পেশাদার পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্দান্ত নিয়েছে নবান্ন। যদিও এই নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি। নবান্নের এই বিজ্ঞপ্তির পরেই টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, বাংলার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য বাইরে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে।  এদিকে রাজ্য সরকার এমন সবাইকে চাকরি দিচ্ছে,  যারা ইতিমধ্যেই প্রাইভেট সংস্থায় চাকরি করছে বা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, কিংবা সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করছেন। এই রাজ্য়ে যুবরা যে কতটা অবদমিত, এই ঘটনা তারই সেই দিকটাই তুলে ধরেছে। 

আরও পড়ুন, Firhad Hakim-KMC Mayor: 'কলকাতার প্রধান সেবক হতে চাই', মেয়রপদে শপথগ্রহণ ফিরহাদের

এবার  পরামর্শদাতার ইস্যুতে মুখ্যসচিবকেও তলব করল রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীকে তলব করেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিয়োগের যাবতীয় তথ্য সহ মুখ্যসচিবকে রাজভবনে যেতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিধানসভা ভবনে এসে রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন। মানবধিকার কমিশনার, হাওড়া বিলে সই করা , রাজ্যপালের অধিকার এবং ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেকটি নিজস্ব কাজের সাংবিধানিক কাজের একটি সাংবিধানিক এক্তিয়ার আছে। একটা সীমা আছে। আমার যা কাজ আমি করব, ওনার যা কাজ উনি তাই করবেন। এদিকে এই প্রসঙ্গের রেশ কাটতে না কাটতেই পরামর্শদাতা ইস্যুতে এবার টুইটে সরব হলেন রাজ্যপাল। মূলত একুশের বিধানসভা ভোটের সেই কোচবিহার কাণ্ড থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসা সহ আরও একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত উসকে গিয়েছে।   

 

 

Share this article
click me!