আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ব্রাত্য রাজ্যপাল

  • সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই
  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাত্য রাজ্যপাল
  • শিক্ষাদপ্তর থেকে বার্তা আসেনি
  • সাফাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

Tanumoy Ghoshal | Published : Jan 21, 2020 3:31 PM IST / Updated: Jan 21 2020, 09:04 PM IST

আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই খোদ রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়ের!  সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলেও।

দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভে মুখে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গেটের বাইরে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান যোগ না দিয়েই ফিরতে আসতে হয় রাজ্যপালকে। আর এবার হাজির থাকা তো দূর অস্ত, সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্র থেকেই তাঁর নাম বাদ দিয়ে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৮  জানুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে নজরুল মঞ্চে।  সোমবার থেকে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। কিন্তু সেই কার্ডে নাম নেই খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। উল্লেখ্য়, স্রেফ রাজ্যপালই নন, জগদীপ ধনখড় পদাধিকারি বলে রাজ্য সরকার পরিচালিত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও বটে। 

কিন্তু কেন এমনটা হল? রাজভবনের উপরই দায় চাপিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের আসা নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের তরফে কোনও সম্মতিসূচক বার্তা দেওয়া হয়নি। তাই আমন্ত্রণে তাঁর নামও রাখা হয়নি।  আর রাজভবনের বক্তব্য, অনেক দিন আগেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যাওয়ায় বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এমনকী, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বও করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও অজ্ঞাতকারণে সেকথা অস্বীকার করা হচ্ছে।   বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যপালের নাম আমন্ত্রণপত্রে রাখা হচ্ছে না। এতে রাজ্যের অসম্মান হচ্ছে।  স্রেফ রাজ্যপালই নন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম নেই।  অথচ তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন! খবর তেমনই।  

উল্লেখ্য, নানা বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চরমে। সংঘাত এতটাই যে, রাজ্যপালকে ছাড়াই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার কথা জানিয়েছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কি জেনেশুনে সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্র থেকে রাজ্যপালের নাম বাদ দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
 

Share this article
click me!